বিশ্বনবীর সেই সুন্নাহ আজকের প্রকৃত ধার্মিকদেরকে কাঁধে তুলে নিতে হবে। আমাদেরকেও জীবন বাজি রেখে উদাত্ত কণ্ঠে বলতে হবে- হয় আমরা ধ্বংস হয়ে যাব, অথবা ধর্মের নামে ব্যবসা বন্ধ করে প্রকৃত ধর্মের শিক্ষা প্রতিষ্ঠা করব।
মনে রাখতে হবে- লেবাসধারী কোনো গোষ্ঠী যখন ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে এবং ধর্মকে বিকৃত করে তখন সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর কোনো ক্ষতি হয় না, নাস্তিকদেরও কোনো ক্ষতি হয় না, অন্য ধর্মের মানুষেরও ক্ষতি হয় না। ক্ষতিটা আমাদেরই হয়, কারণ আমরা ইসলামকে জীবনের আদর্শ বলে মনে করি। কাজেই ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদটাও অন্য কারো আগে আমাদেরকেই করা দরকার।
ধর্মব্যবসায়ীরা নিজেদেরকে ধর্মের হেফাজতকারী দাবি করবে সেটাই স্বাভাবিক। এটা আজকের নতুন ঘটনা নয়। ১৪০০ বছর আগেও সেটাই হয়েছিল। এই ধর্মব্যবসায়ী সমাজ বিশ্বনবীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল আর জনগণকে বুঝিয়েছিল- মুহাম্মদ (সা.) সবার ঈমান নষ্ট করে দিবে, সবাইকে ধর্মহীন করে ফেলবে ইত্যাদি। ওই ধর্মব্যবসায়ী সমাজ ঈমান ও ধর্ম রক্ষার হুজুগ তুলে সাধারণ জনগণকে উন্মাদনায় ভাসিয়ে ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত করেছিল। তারা কাবার গেলাফ ছুঁয়ে শপথ নিত- “যেভাবেই হোক কাবাকে মুহাম্মদের (সা.) হাত থেকে হেফাজত করব।” জনগণ মনে করত- তাদের ধর্মগুরুরা কতই না ধর্মের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। ধর্মব্যবসায়ীদের প্রতারণাটা বোঝার আগেই তাদের যা ক্ষতি হবার হয়ে গিয়েছিল।
যুগ পাল্টে গেলেও কিন্তু পাল্টায়নি ধর্মব্যবসায়ীদের চরিত্র। আজকের ধর্মব্যবসায়ীরাও সেই কাজই করতে চাচ্ছে যেটা বিশ্বনবীর যুগের ধর্মব্যবসায়ীরা করেছিল। তাহলে বিশ্বনবীর যুগের ধর্মব্যবসায়ীদের পরিণতি যেটা হয়েছিল সেটা কি আজকের যুগের ধর্মব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রেও হবে? হাদিসে কিন্তু তেমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন এখানে