নির্বাচিত লেখা

দাসপ্রথার বিরুদ্ধে রসুলাল্লাহর (সা.) সংগ্রাম

আল্লাহর রসুল (সা.) মানুষ কেনাবেচার দাসত্ব প্রথাকে নির্মূল করার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। এই সংগ্রাম কেবল যে কাফেরদের বিরুদ্ধে তা নয়......

ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণি বনাম ক্ষমতাসীন দল - কে কতদূর এগিয়ে?

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২০

ইদানীং ওয়াজ মাহফিলে বাধা দেওয়ার অনেক ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে। ওয়াজ মাহফিলে ইসলামের আলোচনা করার কথা থাকলেও দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণির বক্তা কুরআন হাদিসের আলোচনার চেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে কথা বলতেই বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তারা বক্তব্যের মধ্যে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু টেনে এনে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি জনগণকে বিদ্বেষী করে তোলার চেষ্টা করছেন, আর তা দেখে ওই দলের নেতারা স্বভাবতই বক্তাকে থামিয়ে দিচ্ছেন, যা তর্ক-বিতর্ক থেকে গালাগালি এমনকি হুমকি ধামকি পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। 

ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণি বনাম ক্ষমতাসীন দল - কে কতদূর এগিয়ে?

কিন্তু প্রায় সবগুলো ওয়াজের ভিডিওতেই দেখা যাচ্ছে- যখনই বক্তার সাথে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের গন্ডগোল বাধছে, ওয়াজ শুনতে আসা মানুষগুলো ওয়াজের বক্তার পক্ষ নিয়ে নিচ্ছে। বক্তা সঠিক বলুক অথবা বেঠিক বলুক- সেটা বিবেচিত হচ্ছে না, বরং জনগণ বিষয়টাকে দেখছে ওলামায়ে কেরামের ইসলাম প্রচারে বাধা হিসেবে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা যতই সেটাকে বক্তার রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করুক- তা কেউ শুনছে না। বক্তা যখন বলছেন আমি এখানে কুরআনের কথা বলতে এসেছি, হাদিসের কথা বলতে এসেছি, আমার কথা কারো বিপক্ষে গেলে কিছু করার নাই, রসুলের জামানাতেও কুরআনের বাণী প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে, আজও দেওয়া হচ্ছে ইত্যাদি- তখন জনগণ খুব সহজেই বক্তার প্রতি সিম্প্যাথাইজড হয়ে যাচ্ছে। ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত জনতা ফুঁসে উঠছে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে।

ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন তা এখনও পরিষ্কার নই। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, আওয়ামী লীগ বেশ কয়েক বছর ধরেই নিজেদেরকে ভালো মুসলিম হিসেবে প্রমাণের জন্য ওয়াজ মাহফিলগুলোকে কাজে লাগানোর যে চেষ্টা চালিয়ে এসেছে, তা মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। উল্টো তাদের প্রতিপক্ষরা তাদেরকে ওয়াজ মাহফিলবিরোধী ও কুরআন হাদিসের আলোচনায় বাধা দানকারী হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টায় অনেকটা সফলতার দিকে আছে। 

অর্থাৎ ক্ষমতাসীন দলের আমও গেছে, ছালাও গেছে।

এখন দেখার বিষয় হলো ক্ষমতাসীন দল নিজেদেরকে ভালো মুসলিম প্রমাণের জন্য ও তাদের প্রতিপক্ষকে ধর্মব্যবসায়ী প্রমাণের জন্য নতুন কী পরিকল্পনা হাতে নেয়।