কেউ গান শুনতে পছন্দ করে কেউ হুঙ্কার শুনতে। শ্রোতা বুঝে নেতারা ডেলিভারি দেন। তারা হুঙ্কার দিয়ে বলেন সারাদেশে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।
তাদের আবেগী অনুসারীরা এটাকে নেতার মনের কথা বলেই ধরে নেয়। তারা আগুন জ্বালিয়ে দেয়। কিন্তু নেতার মনের কথা তো সেটা ছিল না। তিনি সেলিব্রেটি বক্তা হতে চেয়েছিলেন নিজের দর বাড়ানোর জন্য। এজন্যই তাকে নিয়ম করে কিছুদিন পর জেহাদ জেহাদ করতে হয়। শ্রোতাদের আব্দার রাখতে হবে না? শ্রোতাদের সারাবছর হুঙ্কারের ছবক দিয়েছি, এখন হুঙ্কার না দিলে নিজের গদি টিকবে না।
নেতার হুঙ্কার শুনে মহাবীর শ্রোতারা জ্বালাও পোড়াও করে, রক্ত ঝরায়, প্রাণ হারায়। এক সময় তাদের জোশ কেটে যায়, হুঁশ ফেরে। উন্মাদনার মদে মত্ত থাকা যায় আর কতক্ষণ? তখন তাদের বিপন্ন চোখগুলো নেতাদেরকে খুঁজে বেড়ায়। কোথায় নেতা কোথায় নেতা-পুড়ছে বুকে স্মৃতির চিতা।
ওদিকে নেতারা ফন্দিফিকির করেন হুঙ্কারের কর্মফল এড়ানোর। জেহাদকে রাজনীতি বানাতে তারা সেদিনের বিরোধীদের সঙ্গে একঘাটে জল খান। তারপর লাইভে আসেন এবং বলেন, “আমাদের তো ইয়ে মানে কোনো কর্মসূচি ছিল না আসলে। আমাদের কোনো কমান্ড ছিল না। আমাদের দৃষ্টিতে জ্বালাও পোড়াও করা হারাম। “
এভাবেই বিক্রি হয় শ্রোতাভক্তদের ঈমান। পেট মোটা হয় কতিপয় বোয়াল মাছের।
মন্তব্য করুন এখানে