নির্বাচিত লেখা

দাসপ্রথার বিরুদ্ধে রসুলাল্লাহর (সা.) সংগ্রাম

আল্লাহর রসুল (সা.) মানুষ কেনাবেচার দাসত্ব প্রথাকে নির্মূল করার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। এই সংগ্রাম কেবল যে কাফেরদের বিরুদ্ধে তা নয়......

মানুষকে জাহান্নামে পাঠানোর ঠিকাদারীটা আল্লাহ তাদেরকে দিয়েছেন?

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২১

আল্লাহ পবিত্র কোর’আনে বলেছেন, “মো’মেন পুরুষ ও মো’মেন নারীদের সাথে আল্লাহর ওয়াদা, তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, চিরদিন তারা সেখানেই থাকবে।” [সুরা তওবা- ৭২]। 

অর্থাৎ এখানে জান্নাতে যাওয়ার একটাই মাত্র শর্ত দেওয়া হয়েছে আর সেটা হলো মো’মেন হওয়া। এছাড়াও আল্লাহ শিরক ভিন্ন সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। [সুরা নিসা- ৪৮, ১১৬]। 

সেলফিতে লেখক
সেলফিতে লেখক

রসুলাল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে বলল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সে জান্নাতে যাবে। অর্থাৎ আমরা কোর’আন, হাদিস থেকে এটা পরিষ্কার বুঝতে পারি যে, আল্লাহ মানুষকে জান্নাতে দিতে চান, জান্নাতে দেবার জন্য এতটুকুও যদি সুযোগ থাকে তবে আল্লাহ সেই সামান্য সুযোগকে অসিলা করে তাকে জান্নাতে পাঠাতে চান। যেমন, বান্দা যদি পাপ করে আল্লাহ মালায়েকদেরকে বলেন, তোমরা এখনই পাপ লিখ না, কারণ সে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আর যদি পুন্য করে তবে আল্লাহ বলেন, সাথে সাথে লিখে ফেল। এভাবে অনেক ঘটনা থেকেই এটা পরিষ্কার বোঝা যায়।


কিন্তু বর্তমানে আলেমদের ওয়াজ শুনলে মনে হয় আল্লাহ বসেই আছেন মানুষকে জাহান্নামে পাঠানোর জন্য। অধিকাংশ আলেম তার বিরুদ্ধে মতের সব আলেমকেই কাফের, ফাসেক ইত্যাদি বলে ফতোয়া দিয়ে থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হাল হবে বুঝুন! যেই আলেম আরেকজনকে কাফের ফতোয়া দিয়ে জাহান্নামে পাঠাচ্ছেন সেই আলেমকে আবার আরেক আলেম কাফের বানিয়ে জাহান্নামে পাঠাচ্ছেন। ভাবটা এমন যেন মানুষকে জাহান্নামে পাঠানোর ঠিকাদারীটা আল্লাহ তাদেরকে দিয়েছেন। কিন্তু জান্নাতে পাঠানোর ঠিকাদার কি পাওয়া যাবে?