নির্বাচিত লেখা

দাসপ্রথার বিরুদ্ধে রসুলাল্লাহর (সা.) সংগ্রাম

আল্লাহর রসুল (সা.) মানুষ কেনাবেচার দাসত্ব প্রথাকে নির্মূল করার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। এই সংগ্রাম কেবল যে কাফেরদের বিরুদ্ধে তা নয়......

পাপকে ঘৃণা করো, পাপীকে নয়

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২১

যে খুন করল তাকে কোন যুক্তিতে ঘৃণা না করে পারা যাবে? যে ব্যাক্তি ধর্ষণ করল তাকে কীভাবে ক্ষমা করা যায়? এই বাক্য মানলে তো খুনী, ধর্ষকদের শাস্তিই দেয়া যাবে না, কারন এই বাক্য মতে পাপ অর্থাৎ ধর্ষণ, খুনকে ঘৃণা করতে হবে, যে করল তাকে নয়!! এটা কিভাবে সম্ভব? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খায়, এই প্রশ্নের মীমাংসার জন্যই এই লেখা।

রাকীব আল হাসান
আপনার গায়ে যে জামাটি আছে তা যেন নোংরা না হয়, দুর্গন্ধযুক্ত না হয় সে চেষ্টা আপনি নিশ্চয় করেন কারণ নোংরা এবং দুর্গন্ধ আপনি পছন্দ করেন না। কিন্তু জামাটি আপনার খুব পছন্দের। জামাটি যখন অপরিষ্কার হয়, দুর্গন্ধ হয় তখন কি ঘৃণা করে জামাটি ফেলে দেন? না, বরং জামাটিতে গুড়া সাবান, সোডা ইত্যাদি লাগিয়ে পানির মধ্যে চুবিয়ে ধরে রাখেন, তারপর ইচ্ছে মতো ধোলাই করেন, বেশি ময়লা হলে গরম পানিতে সেদ্ধও করেন। ধোয়া শেষ হলে শুকিয়ে আবার উত্তপ্ত আয়রন চেপে ধরে ওটাকে নতুনের মতো করে তোলেন।

আপনি এই যে কাপড়ের উপর অত্যাচার করলেন- এর মানে কি আপনি কাপড়টিকে ঘৃণা করলেন নাকি ময়লা আর দুর্গন্ধকে ঘৃণা করলেন? পরিষ্কার করার পরে আবার জামাটিকে আপন করে নিলেন, গায়ে জড়িয়ে নিলেন। মানুষকে দেখালেন- দেখ, এই আমার জামা।

এবার নিশ্চয় বুঝেছেন যে, পাপীকে ঘৃণা না করার অর্থ তাকে শাস্তি না দেওয়া নয়, বরং তাকে পাপমুক্ত করার সব পদক্ষেপ নেওয়া। প্রথমে বোঝানো (জামাতে অল্প ময়লা হলে শুধু ঝাড়া দেন, বা পানিতে একবার ধুয়ে দেন, কাঁচার প্রয়োজন হয় না), কাজ না হলে প্রয়োজনে শাস্তি দিয়ে তাকে পাপমুক্ত করে আবার কাছে টেনে নেওয়া, বুকে জড়িয়ে ধরা। আর পূর্বের পাপের জন্য তাকে কখনোই ঘৃণা করা যাবে না। ঐ পাপগুলোকে এমনভাবে ঘৃণা করতে হবে যেন কখনোই ঐ পাপ আপনাকে স্পর্শ না করে।

এবার আসুন একবার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি- পাপকে ঘৃণা করো পাপীকে নয়।