কোনো কিছু ধ্বংস করতে লাগে ক্ষমতা আর সৃষ্টি করতে লাগে সামর্থ্য।
সমাজের শিক্ষিত শ্রেণি অর্থাৎ বুদ্ধিজীবী, চিন্তাশীল, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষক, আইনজীবী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আমলা, আলেম-ওলামা ইত্যাদির আছে মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা। তাদের এই মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতার সমষ্টিই হলো জাতির সামর্থ্য। এই সামর্থ্য দিয়ে অনেক কিছু সৃষ্টি করা যায়, জাতিকে উন্নত করা যায় কিন্তু পঁচা-গলা, ঘুনে ধরা সমাজব্যবস্থাকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া যায় না।
একটা নষ্ট, বিকল, বাজে সিস্টেমকে ভেঙে ফেলার জন্য লাগে ক্ষমতা। এই ক্ষমতা শিক্ষিত শ্রেণীর কাছে থাকে না, থাকে অশিক্ষিত খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রমিক শ্রেণীর কাছে। এজন্য যুগে যুগে বিপ্লব ঘটানোর জন্য, একটা ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে ফেলার জন্য প্রয়োজন পড়ে ঐ সাধারণ শ্রেণীর মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা। তারাই সংগ্রাম করে, লড়াই করে পুরনো ব্যবস্থাকে ভেঙে নতুন একটা ব্যবস্থা তৈরি করার মাঠ প্রস্তুত করে।
লেখক, রাকিব আল হাসান |
কিন্তু বিপ্লবের শুরুতে সাধারণ শ্রেণীর ওই মানুষগুলোর সংগ্রাম দেখে, কর্মপ্রচেষ্টা দেখে শিক্ষিত শ্রেণীর অনেকেই নাক সিটকায়। কিন্তু বিপ্লব ঘটে যাওয়ার পর ওই শিক্ষিত শ্রেণীর মানুষগুলো নতুন সভ্যতায় নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য দলে দলে এসে ভিড় জমায়, সুযোগের সন্ধান করে এবং নতুন সভ্যতা নির্মাণে অনেকে অবদানও রাখেন।
ইতিহাসে নাম ওঠে অশিক্ষিত ওই বিপ্লবীদের আর ইতিহাস লেখেন নাক সিঁটকানো ঐ শিক্ষিত শ্রেণি। কাজেই ওহে বিপ্লবীরা কারো নাক সিঁটকানো দেখে, কারো গালমন্দ শুনে কিংবা কোন আঘাতেই তোমরা দমে যেও না। মনে রেখো যত বেশি আঘাত সহ্য করবে, যত বেশি তোমাকে নিয়ে আজ উপহাস করা হবে ইতিহাসে তোমার নাম ততই শক্তভাবে স্থাপিত হবে।
মন্তব্য করুন এখানে