tag:blogger.com,1999:blog-75321423377178695472024-03-14T14:06:51.519+06:00বেঙ্গলপাববেঙ্গলপাব একটি সৃজনশীল প্রকাশনা ব্লগ। বিনামূল্যে আপনার স্বরচিত যেকোন সৃজনশীল লেখা প্রকাশ করুন এখানে। Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comBlogger149125tag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-54628369315745005812024-02-18T13:26:00.002+06:002024-02-18T13:26:26.723+06:00রংপুরে পিনাকল স্পোর্টস এসোসিয়েশনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত<div>
রংপুরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পিনাকল স্পোর্টস এসোসিয়েশনের বার্ষিক
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৭
ফেব্রুয়ারি) সকালে রংপুর মডেল কলেজ মাঠে দিনব্যাপী এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার
উদ্ধোধন করেন রংপুর মহানগর তাজহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রবিউল ইসলাম।
</div>
<div><br /></div>
<img
alt="রংপুরে পিনাকল স্পোর্টস এসোসিয়েশনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত"
border="0"
data-original-height="480"
data-original-width="720"
src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhna2Oijgp24A090JqWvs0mK8BLceEHPLGWLx_T0n6uFVACQ_IHiZ1m4j_L4RFbQxUAyLU7uyk64Toca69YEoCpmigLBVfzlOokzmJMJj_hYR0mm5_NRDQeQQBQ4rh21LtH28daSM-S-SwA87Mpqtw7O87sAsUuF8WPpyn8rK37XeKorv4JRUFrekXxDxw/s16000/%E0%A6%B0%E0%A6%82%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%20%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B2%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B8%20%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%95%20%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%20%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A4.jpg"
title="রংপুরে পিনাকল স্পোর্টস এসোসিয়েশনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত"
/><span><a name='more'></a></span>
<div><br /></div>
<div>
রঙপুর ক্রীড়া চক্রের সার্বিক সহযোগিতায় 'নেশা ছেড়ে খেলা ধরি, সুস্থ সবল জাতী
গড়ি' এই প্রতিপাদ্যে উক্ত আয়োজনে নবরুপা ক্রীড়া চক্র, স্বপ্নপুরী ক্রীড়া সংঘ,
ধরলা স্পোটিং ক্লাব, গাইবান্ধা স্পোটিং ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি ক্রীড়া সংগঠন
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। নেশামুক্ত একটি সুস্থ জাতি গঠনে গ্রাম বাংলার
চিরায়ত খেলাগুলো তুলে এনেছিলো পিনাকল স্পোর্টস এসোসিয়েশন। ক্রীড়া সংগঠনগুলোর
নিয়মিত খেলায়াড় ছাড়াও এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দের পরিবাররাও একে একে
বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন দিন ব্যাপী এই আয়োজনে।
</div>
<div><br /></div>
<div>
প্রথম পর্বে শিশু বাচ্চাদেরসহ যুবক এবং বয়োবৃদ্ধদের নানামুখী ক্রীড়া নৈপুণ্য
শেষে দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী আয়োজন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহবুবার রহমান মঞ্জু।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেটিভি অনলাইনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ
অনলাইন টেলিভিশন অ্যাসোসিয়েশনের সম্মানিত সভাপতি জনাব মশিউর রহমান।
</div>
<div><br /></div>
<div>
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদৎ হোসেন,
জাতীয় শ্রমিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তোফা,
৩২নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি ও তাজহাট থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র
সহ-সভাপতি মাহবুবার রহমান, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলামসহ
অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
</div>
<div><br /></div>
<div>
দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা
করেন পিনাকল স্পোর্টস এসোসিয়েশনের বিভাগীয় উপদেষ্টা জনাব আব্দুল কুদ্দুস শামীম।
</div>
<div><br /></div>
<div>
এতে সভাপতিত্ব করেন পিনাকল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের রংপুর জেলা পরিচাল আবুল
কালাম আজাদ রুবেল। এতে মিডিয়া পার্টনার ছিলেন জেটিভি অনলাইন ও দৈনিক দেশেরপত্র।
</div>
Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-35777458717166132822024-02-15T10:28:00.002+06:002024-02-15T10:28:28.041+06:00ময়মনসিংহে পিনাকল স্পোর্টস এসোসিয়েশনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান<div>
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহে পিনাকল স্পোর্টস এসোসিয়েশনের বার্ষিক
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
</div> <div><br/></div>
<img
alt="ময়মনসিংহে পিনাকল স্পোর্টস এসোসিয়েশনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান"
border="0"
data-original-height="468"
data-original-width="1040"
src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgtRTlX4yt_fK0-ZKA0mPEKz2kY8ZI8Um26YxVSBB8PilzTPysgp6yRXQH5qurvt0T9NLO2zl6OdntXkuGRzxXiGisM8jVerga8h5WYHDvTWjIr_4uWRQVbtt33FvPM5772CldxREoz7tiLZHcrU-FFcsI6_xvoUzYZuIFTnHvwKDRo-1U4dKLZmnucmHI/s16000/%E0%A6%AE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9%E0%A7%87%20%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B2%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B8%20%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%95%20%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE%20%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20%E0%A6%93%20%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%20%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A8.jpg"
title="ময়মনসিংহে পিনাকল স্পোর্টস এসোসিয়েশনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান"
/>
<div><br/></div> <a name='more'></a>
<div>
“সুস্থ দেহ সুস্থ মন, সমৃদ্ধ জাতি গঠন । মাদক ছেড়ে খেলা ধরি, সুস্থ-সবল জীবন
গড়ি এই স্লোগানে মঙ্গলবার
</div><br/>
<div>
দিনব্যাপী ময়মনসিংহ রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে এই বার্ষিক ক্রীড়া
প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি ক্রীড়া ও সংস্কৃতি প্রেমীদের মিলন মেলায়
পরিণত হয়। অনুষ্ঠানে নারী পুরুষ শিশু-কিশোরসহ সকল বয়সী মানুষের অংশগ্রহণে
মুখরিত হয়ে উঠে রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়াম ।
</div><br/>
<div>
ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মধ্যে ছিলো ছেলেদের ৪০০,২০০ ও ১০০ মিটার দৌড় , মোরগ লড়াই,
চোখ বেঁধে পাতিল ভাঙ্গা, রশি টানা , হাঁস ধরা, দীর্ঘ লাফ প্রতিযোগিতা ও কবিতা
আবৃত্তি ।
</div><br/>
<div>
অপরদিকে মেয়েদের অংশগ্রহণে বালিশ খেলা, শিশুদের জন্য ১০০ মিটার দৌড়, বিস্কুট
দৌড়, গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তসহ মোট ২২ টি খেলা অনুষ্ঠিত
হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জনপ্রিয় গানের তালে শিশুদের নৃত্য পরিবেশনায়
মুখরিত হয়ে উঠে দর্শক গ্যালারি । এ সময় উপস্থিত দর্শক ও খেলায় অংশগ্রহণকারীরা
বাঁধভাঙ্গা উল্লাসে মেতে উঠে। <span></span>
</div><br/>
<div></div><br/>
<div>
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের
সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল আলম,পিনাকল স্পোর্টস
অ্যাসোসিয়েশন ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি
ছিলেন পিনাকল স্পোর্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিয়াল তালুকদার,পিনাকল
স্পোর্টস এসোসিয়েশনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির
প্রধান উপদেষ্টা রহমত উল্লাহ রানা সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন । সারাদিনব্যাপী
খেলাধুলা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে
দেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন একসময় গ্রামগঞ্জে পাড়ায়
মহল্লায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে এ ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন
করা হতো, তখন আমাদের যুব সমাজ মাদক, জঙ্গিবাদ ,সাম্প্রদায়িকতা, অপরাজনীতি ও
অপসংস্কৃতিতে আসক্ত ছিল না । এ ধরনের খেলাধুলা হারিয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের যুব
সমাজ আজ বিপদগামী হচ্ছে । আবারো যদি সমাজে এ ধরনের সুস্থ বিনোদন, ক্রীড়া
প্রতিযোগিতা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন বৃদ্ধি করা যায় তাহলে সমাজ থেকে সকল
প্রকার অন্যায় ,অবিচার ,অনৈক্য, মাদক জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ডিজিটাল ডিভাইস
আসক্তি দূর হবে।
</div><br/>
Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-33861268519869376832024-02-12T12:35:00.006+06:002024-02-12T12:35:59.178+06:00মসজিদের ইমাম কি বেতনভুক্ত হতে পারেন?<div>
বিগত কয়েকশ বছর থেকে মসজিদের ইমামগণ জনগণের বেতনভুক্ত। তারা যে কেবল নামাজ পড়িয়ে
টাকা নেন, বিষয়টা এমন নয়। একটি মসজিদের দেখাশোনার জন্যও একটা লোক লাগে। ইমামগণই
মসজিদের আয়-উন্নতির জন্য চেষ্টা করেন, আজান দেন, ঝাড়ু দেন, মক্তবে শিশুদের কোর’আন
শিক্ষা দেন। এসব কাজের বিনিময়ে তিনি এলাকাবাসীর থেকে বেতন পেয়ে থাকেন। এই
কাজগুলোর মধ্যে কিছু আছে একান্ত আল্লাহর জন্য, যেমন সালাত, কোর’আন শিক্ষা
প্রদানকরা, দোয়া করা ইত্যাদি। এগুলোর কোনো বিনিময় মানুষ দিতে পারে না। কিন্তু
মসজিদ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য একজন সুইপারকে বেতন দিয়ে রাখা যেতেই পারে।
সেক্ষেত্রে তাকে ক্লিনার বলেই সম্বোধন করা হবে। আর মসজিদ পরিষ্কার রাখা
নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ ও পুণ্যের কাজ।
</div>
<div><br /></div>
<img
alt="মসজিদের ইমাম কি বেতনভুক্ত হতে পারেন?"
border="0"
data-original-height="560"
data-original-width="1000"
src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhTBLvQOrHiZZlGLVCZJUWMgqnRzRqA1m747Ie5YPOnlxiLweQLgzY0xHTsrVHS3e-L_8arw-AMKH72p9f9WfN8tpctO-boTZrdXJ8fNivl34T6TGVGR-dbWcH_MW43yAMPAoraF2g0nu5pipnhbQik_rKJU6BMndlyj7OnBH1i1CzmjpC0Uyo2eS8CcsQ/s16000/%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%20%E0%A6%95%E0%A6%BF%20%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%20%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%87%20%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8.jpg"
title="মসজিদের ইমাম কি বেতনভুক্ত হতে পারেন?"
/>
<span><a name='more'></a></span>
<div><br /></div>
<div>
কিন্তু ”ইমাম” বলতে কোনো ঝাড়ুদার বা কর্মচারীকে বোঝায় না। “ইমাম” বলতে বোঝায়
নেতা। আল্লাহ বলেন, স্মরণ করো ওই দিনের কথা, যেদিন আমি মানুষের প্রতিটি দলকে
তাদের ‘ইমাম’সহ ডাকব। (বনী ইসরাইল ৭১)। অর্থাৎ ইমামকে তাঁর জাতির দায়িত্ব গ্রহণ
করতে হবে, তিনি ঐ জাতির পরিচালক হবেন।
</div>
<div><br /></div>
<div>
প্রকৃত ইসলামের যুগে যিনি নামাজের নেতা ছিলেন, তিনিই সমাজের নেতাও ছিলেন। তাঁর
হাতে দণ্ড প্রদান ও কার্যকর করার ক্ষমতা ছিল। তাঁকে কেন্দ্র করেই সামাজিক থেকে
সামরিক যাবতীয় কর্মকাণ্ড আবর্তিত হত। যখন আল্লাহর সার্বভৌমত্বভিত্তিক জীবনবিধান
জাতীয় জীবন থেকে তিরোহিত হল, ভিন্ন জাতির পদানত দাসে পরিণত হল মুসলিমরা, তখন এই
ইমামগণ আর দণ্ডমুণ্ডের কর্তা বা কোনো প্রকার প্রশাসনিক কর্তৃত্বের অধিকারী রইলেন
না। কিন্তু সেই পদবি তাদের রয়েই গেল। তারা হয়ে গেলেন “ইমাম” নামক কর্মচারী, যারা
সমাজপতিদের হাতের পুতুলমাত্র। ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের প্রতিরোধ যা একজন ইমামের
প্রাথমিক দায়িত্ব, সেটা পালন করার কোনো অধিকার আর তাদের রইল না।
</div>
<div><br /></div>
<div>
”চেয়ারম্যান” বলতে একজন জনপ্রতিনিধিকে বোঝায়। যে কোনো মানুষ একটা চেয়ার টেনে
বসলেই সে “চেয়ারম্যান” হয়ে যায় না। তেমনি ইসলামের “ইমাম” আর মসজিদে নামাজ পড়ানো,
মসজিদ দেখাশোনা ও ঝাড়ু দেওয়ার ইমাম এক নয়। আজকের ইমামগণ দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়েন,
যে শ্রেণির অস্তিত্ব প্রকৃত ইসলামের যুগে ছিলই না। সুতরাং এই শ্রেণিটি মূর্তিমান
”বিদাত” বা সংযোজন।
</div>
<div><br /></div>
<div>
<blockquote>
ইসলামী সরকার মসজিদের সার্ভেন্টদের বেতন দিতেই পারে তাদের সেবার বিনিময়ে কিন্তু
খলিফাগণ ভাতা নিতেন ‘নামাজ’ পড়ানোর বিনিময়ে নয়, তাঁরা অর্ধবিশ্বের খেলাফতের
দায়িত্ব, প্রশাসনের পরিচালনা করে তার বিনিময়ে ভাতা নিতেন। আজকে মসজিদের ইমামগণ
ইসলামি সরকার থেকে ভাতা নেন না, ইসলামী সরকারই নাই। জীবনব্যবস্থা থেকে আল্লাহকে
বাদ দেওয়া হয়েছে। তবু এই লোকগুলো নিজেদের ধর্মব্যবসাকে বৈধ করার জন্য সেই
খলিফাদের ভাতা গ্রহণের উদাহরণ টেনে আনেন।
</blockquote>
</div>
<div><br /></div>
<div>
মসজিদের কেয়ারটেকার হিসাবে টাকা নিবে এতে কোনো সমস্যা নাই, কিন্তু তারা তো
নামাজের ইমামতির জন্য পারিশ্রমিক নিচ্ছে। এটাই দীনের বিনিময় গ্রহণ,
Islam-business. কারণ নামাজ কেবলই আল্লাহর জন্য হতে হবে। বলুন, আমার সালাত, আমার
কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহরই জন্য (আনআম ১৬২)। কিন্তু
আমরা দেখি তারাবির নামাজ পড়িয়েও তারা টাকা নেন, সেখানো তো অন্য কোনো কাজের
প্রসঙ্গ আসে না।
</div>
Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-32781879340569691132024-02-07T20:58:00.002+06:002024-02-07T20:58:19.590+06:00পাল্টে গেল ফতোয়াগুলো<p>
ইমাম, ফকীহ ও মুজতাহিদগণ কোনো সমস্যার ফতোয়া দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নীতি (উসুলে
ফিকাহ) অনুসরণ করতেন। যেমন কোনো বিষয়ে কোর’আনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলে তার
বিপরীতে হাদিসের কোনো বক্তব্য তারা গ্রহণ করতেন না। আবার রসুলাল্লাহর কোনো স্পষ্ট
হাদিস পেলে সে বিষয়ে কোনো ব্যক্তির বক্তব্য গ্রহণ করতেন না, তিনি যত বড় আলেমই হোন
না কেন।
</p>
<p><br /></p>
<img alt="পাল্টে গেল ফতোয়াগুলো" border="0" data-original-height="1366" data-original-width="2048" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiqUv1GekeigUvzPJDM_tW6xTexQCO8MY0H0SjjJecuCacZTjGnrznpMOzFSDupz0QbQpbeQmkisSLGf4O6yDCK3uHefUzqOdP3csOy8zP6gD3u8Vs549t3dPkLf6jReedH1c1f0oZOjjkUMpmz0-HyVCfi29r1WLdwcWv8jl5WWl_KBRhYP0JYvZ91_nY/s16000/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%20%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2%20%E0%A6%AB%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8B.jpg" title="পাল্টে গেল ফতোয়াগুলো" />
<p><br /></p>
<p>
২২ হিজরিতে জন্মগ্রহণকারী তাবেয়ী ইমাম শা’বী এ সম্পর্কে বলেছেন, ফতোয়া
প্রদানকারীরা রসুলাল্লাহর (সা.) বরাত দিয়ে তোমাকে যা কিছু অবহিত করবে, তা গ্রহণ
করবে। কিন্তু তারা স্বীয় রায় দ্বারা যদি কিছু বলে তাহলে তা পায়খানায় নিক্ষেপ করবে
(দারিমি)।<span></span>
</p>
<a name='more'></a>
<p>
রসুলাল্লাহর ঘনিষ্ঠ সাহাবী ও দুধভাই আবু সালামা (রা.) বৃদ্ধ বয়সে বসরায় গমন করেন।
প্রসিদ্ধ তাবেয়ী হাসান বসরী তাঁর সাক্ষাতে গেলে আবু সালামা (রা.) তাঁকে উদ্দেশ
করে বলেন, ‘আপনিই কি হাসান? বসরায় আপনার সাক্ষাৎ পাবার জন্য আমি সবচেয়ে বেশি
উদগ্রীব ছিলাম। এর কারণ হল, আমি শুনতে পেয়েছি, আপনি নাকি ’স্বীয়’ রায় দ্বারা
ফতোয়া দিয়ে থাকেন। এমনটি করবেন না। ফতোয়া কেবল রসুলাল্লাহর সুন্নাহ ও আল্লাহর
কেতাব দ্বারা দিবেন।” (আল নাদর ইবনে শামায়েল)
</p>
<p>
কিন্তু বর্তমানে আমাদের অলিতেগলিতে লক্ষ লক্ষ মুফতি বাস করেন যাদের ফতোয়া দেওয়ার
জন্য কোর’আন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। তারা মুকাল্লিদ টাইপের মুফতি। পূর্ববর্তী
ইমাম ও আলেমগণ যা বলেছেন উনারা সেটারই পক্ষ অবলম্বন করবেন- এমন স্থির সিদ্ধান্ত
নিয়ে বসে আছেন। কোনো বিষয়ে পবিত্র কোর’আনের সুস্পষ্ট বিধান থাকলেও সেটাকে তারা
চাইলে উল্টে দিতে পারেন এতই তাদের ক্ষমতা।
</p>
<p>
অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যায় এ বিষয়ে। যেমন মানুষকে হেদায়াতের আহ্বান করে বা দীনের
শিক্ষা দিয়ে কোনো বিনিময় নেওয়া যাবে না এ বিষয়ে কোর’আনের সুস্পষ্ট আয়াতগুলো তারা
দেখতে পান না। যারা আল্লাহর আয়াতের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করে তারা আগুন ছাড়া কিছুই
খায় না (সুরা বাকারা ১৭৪), তোমরা তাদের অনুসরণ কর যারা তোমাদের থেকে কোনো
বিনিময়, মজুরি কামনা করে না এবং সঠিক পথে আছে (সুরা ইয়াসীন ২১)।
</p>
<p>
<span></span></p><blockquote>সকল নবী কর্ম করে খেতেন এবং ধর্মব্যব্যবসার বিরুদ্ধে তাদের উক্তি কোর’আনের পাতায়
পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখিত। তবু তারা দীনের শিক্ষা দিয়ে, কোর’আন পড়ে, ওয়াজ করে,
ফতোয়া দিয়ে, দোয়া করে, নামাজ পড়িয়ে ইত্যাদি উপায়ে রুজি রোজগারকে হালাল মনে করেন।
কেউ কোর’আনের নিষেধাজ্ঞা দেখিয়ে দিলে তাকে কাফের ফতোয়া দিয়ে দেন। এ ফতোয়া প্রদান
থেকে আল্লাহর কেতাব, রসুলের হাদিস, নবী-রসুলগণের সুন্নাহ কিছুই তাদের ফেরাতে পারে
না।
</blockquote><p></p>
<p>
আবার দেখুন, রসুলের সময় নারী-পুরুষ এক জামাতে মসজিদে সালাহ কায়েম করতেন। কিন্তু
এখন নারীদের মসজিদে যাওয়াই নিষিদ্ধ। কোনো মসজিদে যদি নারীদের যাওয়ার অনুমতি থাকে,
সেখানেও তাদের জন্য ভিন্ন রাস্তা, ভিন্ন কক্ষ ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়;
কোনোভাবেই যেন তাদের ছায়াও পুরুষ মুসুল্লিরা দেখতে না পারেন। কিন্তু কোর’আন নারী
ও পুরুষ উভয়কেই মসজিদে যেতে হুকুম করেছে, রসুল ও তাঁর সাহাবিরা আমৃত্যু সেটাই আমল
করে গেছেন। আপনি সেগুলো বর্তমানের মুফতিদের বোঝাতে পারবেন না। তারা আল্লাহর হুকুম
ছুঁড়ে ফেলে ধমক দিয়ে বলবেন, আপনি কি আলেম? আমাদের পূর্ববর্তী আইম্মাগণ যে ফতোয়া
দিয়ে গেছেন আমরা সেগুলোই মানি। আপনি কি তাদের থেকে বেশি বুঝেন?
</p>
<p>
তাই এখন নতুন করে উসুলে ফেকাহ লেখার সময় এসেছে। এই উসুলের ভিত্তি হবে একটাই- একজন
আলেম যেটা বলেন সেটাই হল ইসলাম। কোর’আন কেবল পাঠ করলেই হবে, আমল করা লাগবে না।
আমল করতে হবে কেবল আলেমদের নির্দেশ। যুক্তি- যে যামানায় নবী নাই, সেই যামানায়
আলেমরাই নবী। আর আলেম কারা? যারা মাদ্রাসায় পড়েছেন তারাই আলেম। অন্য কারো এই
আঙিনায় প্রবেশাধিকার নাই।
</p>
Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-7460651005196262922024-02-07T14:40:00.002+06:002024-02-07T14:40:39.492+06:00যুদ্ধমুক্ত বিশ্ব চাইবাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম স্কুলে যাব বলে<br/>
রাস্তায় দেখি বখাটেদের আড্ডা।<br/>
অন্ধকার রাতে আগুনে ঝাঁপ দেওয়া পতঙ্গের মতো<br/>
কিশোরেরা উন্মত্ত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে মাদক-নেশায়।<br/>
স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা আশি বছরের বৃদ্ধের মতো<br/>
ন্যুব্জ হয়ে পড়ছে ডিভাইস আসক্তিতে।<br/>
<a name='more'></a>
<div><br/></div>
যেই বয়সে রক্তে থাকে তেজ, হৃদয়ে থাকে বিদ্রোহের আগুন<br/>
সেই বয়সের ছেলেরা দিন বদলের স্বপ্ন ছেড়ে<br/>
নোংরা রাজনীতির হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে<br/>
গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং।<br/>
<div><br/></div>
ভায়ে ভায়ে চলছে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি<br/>
পাড়ায় পাড়ায় চলছে দলাদলি, লাঠালাঠি<br/>
সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে চলছে গোলাগুলি, ফাটাফাটি<br/>
দেশে দেশে চলছে যুদ্ধ-রক্তপাত।<br/>
আমি কোমলমতি শিশু, আমি সরলহৃদি ছাত্র<br/>
আমি তোমার ভবিষ্যৎ, তোমায় দেখে শিখছি দিবারাত্র।<br/>
তোমরা মুখে গাও মানবতার গান<br/>
অন্তরে ধ্বনিত হয় যুদ্ধের স্লোগান।<br/>
শান্তির পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন কর অনুষ্ঠান ঝলমল<br/>
হৃদয়ে তোমাদের বসবাস করে মাংসখেকো শকুনের দল।<br/>
<div><br/></div>
নিজেদের ধার্মিক প্রমাণ করতে ধরেছ বড় বড় লেবাস<br/>
কিন্তু সমাজকে তুলে দিয়েছ ইবলিসের হাতে।<br/>
দোয়া মাঙো পরকালে জান্নাতের জন্য<br/>
অথচ দুনিয়াকে বানিয়ে রেখেছ জাহান্নাম।<br/>
হৃদয়ের বারুদের গন্ধ ঢাকতে গায়ে মেখেছ পারফিউম<br/>
চরিত্রের কলুসতা, নোংরামি ঢেকে দিয়েছ বড় আলখেল্লায়।<br/>
তোমাদের এই ভণ্ডামি, কপটতা ছাড়<br/>
এই দলাদলি, কিলাকিলি ছাড়।<br/>
এসো সকল বিভেদ ভুলে, বিদ্বেষ দূর করে<br/>
কাঁধে কাঁধ মিলাই, ঐক্যবদ্ধ হই।<br/>
যুদ্ধমুক্ত মানবিক এক পৃথিবী গড়ে তুলি।<br/>
<div><br/></div>
এই মুহূর্তে পৃথিবীর প্রায় ৩৫ জায়গাতে যুদ্ধ চলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ, ইয়েমেন যুদ্ধ ইত্যাদি। যারা যুদ্ধ
চালাচ্ছে তারা মুখে কিন্তু শান্তির স্লোগান দিয়ে বেড়ায়। এই প্রেক্ষাপটে লিখেছি
গদ্যরীতির এই কবিতাটি। কবিতাটি চাষীরহাট উন্নয়ন মেলাতে আবৃত্তি করা হয়েছে। মতামত
চাই।
<br/>
Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-10178208309081817972024-02-07T08:35:00.003+06:002024-02-07T08:47:01.574+06:00হেযবুত তওহীদের দৃষ্টিতে নারী নেতৃত্ব<div>
ইসলাম নারীর ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্বের যোগ্যতাকে অস্বীকার করা দূরে থাক বরং
সর্বতোভাবে বিকশিত করে তোলে। অথচ ইসলামবিদ্বেষীদের অন্যতম অভিযোগ হচ্ছে, ইসলাম
নারীকে অবদমিত করে রাখে, নারী নেতৃত্বকে নিষিদ্ধ করে, নারীর ক্ষমতায়নকে অকল্যাণকর
মনে করে।
</div> <div><br /></div>
<img alt="হেযবুত তওহীদের দৃষ্টিতে নারী নেতৃত্ব" border="0" data-original-height="1365" data-original-width="2048" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiAgrr_fs8afXSfdxTOoQdmL-yKrZLmpsjcerm9_X2yoJdaZ9VvZdtlrjU7sTyujITc0HVQkUXNL2g1pVrNmIqEKkObWBNVYQe_KUso9nSTWC2HgK8wALHZaBi_-_2ZtJxeDzC71YCh9QwW5YTw9QPUzAa94ltIDXgvz4EPCIpVpyxM0P2Rh-euDByMiRw/s16000/%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A4%20%E0%A6%A4%E0%A6%93%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%A6%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87%20%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%20%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC.jpg" title="হেযবুত তওহীদের দৃষ্টিতে নারী নেতৃত্ব" /> <div><br /></div>
<div>
গোড়াপন্থী ওলামাগোষ্ঠীর নারীবিদ্বেষী মাসলা-মাসায়েলের বিপুল প্রচারের দরুন এ
জাতীয় ধ্যান-ধারণা সকলের মনেই গেড়ে বসেছে। উপরন্তু ইসলামী রাজনৈতিক ও জঙ্গিবাদী
দলগুলো মানবজাতিকে এমনটাই বার্তা দিচ্ছে যে, নারীর উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন নেই, কারণ
সংসার সামলানোই তার মূল কাজ। সে ঘরে থাকবে, পরিবারের পুরুষ সদস্য ছাড়া সে বাড়ির
বাইরে যাবে না। তার চুলও দেখা যাবে না, দেখা গেলে তাকে কঠোর দণ্ড ভোগ করতে
হবে। <span></span>
</div>
<a name='more'></a>
<div><br /></div>
<div>
যার কণ্ঠ শোনাও পাপ, যার হাঁটাচলার স্বাধীনতা নেই, সে আবার নেতৃত্ব দেবে কীভাবে?
এ কারণেই কোনো ধর্মীয় সমাবেশে নারীদেরকে দেখা যায় না, কোনো ধর্মীয় দলের
গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা থাকে না।
</div>
<div>
নারী নেতৃত্বকে হারাম ঘোষণাকারীরা সাধারণত কোর’আনের সুরা নিসার ৩৪ নম্বর আয়াতটি
উল্লেখ করেন যেখানে আল্লাহ বলেছেন, ‘পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক, এ কারণে যে,
আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজদের সম্পদ
থেকে ব্যয় করে।’
</div><div><br /></div>
<div>
এ আয়াতের পূর্বাপর আয়াতগুলো পড়লে বোঝা যায় যে এখানে আল্লাহ মো’মেনদের পারিবারিক
শৃঙ্খলা সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান করছেন। একজন স্বামী তার পরিবারের ভরণপোষণ করে
থাকে। এ কারণে তাকে পরিবারে তত্ত্বাবধায়ক বা কর্তা হিসাবে মানতে হবে। এই আয়াতের
অপব্যাখ্যা করে জাতীয় সামষ্টিক জীবনের সকল অঙ্গনে ‘নারী নেতৃত্বকে হারাম’ বলে
ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে।
</div><div><br /></div>
<div>
কিন্তু আমরা যদি এ বিষয়ে প্রকৃত ইসলামের বক্তব্য জানতে চাই, তাহলে আমাদের দৃষ্টি
ফেরাতে হবে আল্লাহর রসুলের জীবনের দিকে। তিনি কোনো দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে
দেখেছেন কে কোন কাজের যোগ্য, তিনি নারী-পুরুষ দেখেন নি। কোনো নারী যদি কোনো কাজে
পুরুষের চেয়ে যোগ্য হয়, তাহলে সেই কাজ তিনি সেই নারীকেই অর্পণ করেছেন। কেবল নারী
হওয়ার কারণে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তিনি নেতৃত্বভার পাবেন না এমন মূর্খতাপূর্ণ
ধ্যানধারণা ইসলামে নেই।
</div><div><br /></div>
<div>
আল্লাহ নারী ও পুরুষ উভয়কেই তাঁর প্রতিনিধি বা খলিফারূপে সৃষ্টি করেছেন। নারী যদি
তার জ্ঞান, মেধা ও যোগ্যতাবলে সামষ্টিক কর্মকাণ্ডের যে কোন অঙ্গনে নেতৃত্বদানের
উপযুক্ত হয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই তিনি বহু পুরুষের উপরও নেত্রী হিসাবে নিয়োজিত হতে
পারবেন।
</div>
<div><br /></div>
<blockquote>
ইসলামের ইতিহাসেও নারীর ক্ষমতায়নের বহু উদাহরণ দেখা যায়। যেমন: মদিনায় যুদ্ধাহত
সৈনিকদের চিকিৎসার জন্য স্থাপিত হাসপাতালের পরিচালক ছিলেন একজন নারী সাহাবী
রুফায়দাহ আসলামিয়াহ (রা.)। মদিনার বাজার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন উম্মে শিফা
(রা.)। ইয়ারমুকের যুদ্ধে খাওলা বিনতে আজওয়ার (রা.) একটি বাহিনীর কমান্ডারের
দায়িত্ব পালন করেন। উটের যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন উম্মুল মো’মেনীন আয়েশা (রা.)। তাঁর
কাছ থেকে হাজার হাজার মানুষ ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছেন এবং তিনি ২,২১০ টি
হাদিসের বর্ণনাকারী ছিলেন। উম্মুল মোমেনীন খাদিজাতুল কোবরা (রা.) অনেক বড় ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। অনেক নারী সাহাবী কোর’আনের হাফেজ ছিলেন এবং কোর’আন
সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
</blockquote>
<div><br /></div>
<div>
তবে আল্লাহর বিধানমত কেবল একটি জায়গায় নারী নেতৃত্বের জায়গায় থাকতে পারবে না।
সেটা হলো উম্মতে মোহাম্মদী নামক মহা জাতির এমামের পদ। কারণ আল্লাহ নারী ও পুরুষের
দেহ, আত্মা, চিন্তাশক্তি ও বুদ্ধিমত্তার স্রষ্টা। এদের উভয়ের দুর্বলতা সম্পর্কে
তিনি সবচেয়ে বেশি ওয়াকিবহাল। তিনি জানেন যে, নারীর শারীরিক গঠন যেমন পুরুষের
তুলনায় কোমল, তার হৃদয়ও পুরুষের তুলনায় সংবদেনশীল। সহজইে তার চিত্তচাঞ্চল্য ঘটে।
তাকে প্রভাবিত করা সহজতর। এ কারণে ইবলিস নারীকেই প্রথম আল্লাহর হুকুম থেকে
সরিয়েছিল। এ কারণেই আল্লাহর অগণ্য নবী-রসুলের মধ্যে একজনও নারী নেই।
</div><div><br /></div>
<div>
সুতরাং পৃথিবীময় উম্মতে মোহাম্মদী নামক যে মহাজাতি হবে সেই মহাজাতির ‘এমাম’ কেবল
নারী হতে পারবেন না। এর বাইরে স্বীয় যোগ্যতাবলে অন্যান্য যে কোন পর্যায়ের
নেতৃত্বের দায়িত্ব নারী পালন করতে পারে। হেযবুত তওহীদ যেহেতু প্রকৃত ইসলাম প্রচার
করছে, তাই এ আন্দোলনের এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব
নারীদের উপর অর্পণ করেছেন। সে দায়িত্বগুলো নারীরা সফলতার সাথে পালন করে যাচ্ছেন
এবং নিজেদের যোগ্যতা ও উপযুক্ততার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন।
</div>
Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-65402633830486393112024-02-07T08:29:00.004+06:002024-02-07T08:47:01.575+06:00হেযবুত তওহীদের দৃষ্টিতে নারী স্বাধীনতা<div>
পাশ্চাত্য সভ্যতার বহুলচর্চিত শব্দ - নারী স্বাধীনতা; কারণ পাশ্চাত্যে নারী
স্বাধীনতার ধারণাটি প্রায় নতুন। উনিশ শতকের শেষ দিকেও খোদ ব্রিটেনে স্বামীরা
স্ত্রীদের হাটবাজারে নিলাম ডেকে বিক্রি করত। তাদের কোনো বাকস্বাধীনতা ছিল
না।
</div>
<div><br /></div>
<img alt="হেযবুত তওহীদের দৃষ্টিতে নারী স্বাধীনতা" border="0" data-original-height="1352" data-original-width="3101" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiuuTb_v4sE4VyonV0dij_HN0sPAdqfVsxJtq5_a6XVXhvusMr1BSvYxnGhmN89IIpR4y02PEXYgpnR4pSF-kliQ6MNQgisLSlxJUfMnYOfgLB9XI2KWE3HUnM3L1Msk5W4aB4KtceLKKyTdQj4bA82KmVmKfA5ZdepD58o9mHRpKRrmr2zKcF3TjsgPLw/s16000/%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A4%20%E0%A6%A4%E0%A6%93%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%A6%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87%20%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE.jpg" title="হেযবুত তওহীদের দৃষ্টিতে নারী স্বাধীনতা" /><div><br /></div>
<div>
কানাডা ১৯১৭ সালে, যুক্তরাজ্য ১৯১৮ সালে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯২০ সালে
তাদের দেশের নারীদেরকে ভোটাধিকার প্রদান করে। ১৯১৪ সনে মার্কিন সেনাবাহিনীতে
নারীদের নিয়োগ আরম্ভ হয়। পক্ষান্তরে ইসলাম আজ থেকে ১৪০০ বছর আগেই নারীদের মত
প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করেছে, দিয়েছে সকল সামষ্টিক কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার
সুযোগ।
</div>
<a name='more'></a>
<div><br /></div>
<div>
ইসলামপূর্ব আরবে নারীদের বেঁচে থাকাও ছিল পুরুষের ইচ্ছার অধীন। কন্যাশিশুকে
জীবন্ত কবর দেওয়ার মত ঘৃণ্য প্রথা প্রচলিত ছিল। পুরুষের বাঁদি হিসাবেই অধিকাংশ
নারীকে জীবনযাপন করতে হত।
</div>
<div>
অভিভাবকদের সিদ্ধান্তেই তাদেরকে বিয়ে করতে হত। এক গোত্র আরেক গোত্রকে আক্রমণ করে
নারীদের লুণ্ঠন করে নিয়ে যেত, দাসীরূপে বিক্রি করে দিত। পুরুষরা যতসংখ্যক খুশি
বিয়ে করতে পারত, যখন ইচ্ছে তালাক দিতে পারত। পিতার মৃত্যুর পর সৎমাকে সন্তানরা
বিয়ে করত। দেহব্যবসা ছিল সামাজিকভাবে স্বীকৃত। এমন একটি সমাজে আল্লাহর রসুল এসে
নারীদের মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করলেন।
</div><div><br /></div>
<div>
মক্কায় যখন তাঁর অনুসারীদের উপর অকথ্য নির্যাতন চলছিল, তখন একদিন তিনি বলেছিলেন,
‘সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন একা একজন যুবতী নারী দিনে ও রাতে সারা গায়ে অলংকার
পরিহিত অবস্থায় সানা থেকে হাদরামাউত পর্যন্ত পথ (৫৭৮ কিমি) অতিক্রম করবে। তার মনে
আল্লাহ আর বন্য পশুর ভয় ছাড়া আর কোনো ভয় থাকবে না।’ এ থেকেই ধারণা পাওয়া যায় যে
তিনি নারীদের জন্য কেমন একটি উন্মুক্ত, স্বাধীন ও নিরাপদ পৃথিবী প্রতিষ্ঠা করতে
যাচ্ছেন। সত্যিই ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর অর্ধেক দুনিয়াতে এমন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল।
</div>
<div>
নারী স্বাধীনতার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে তিনি সর্বপ্রথম নারীদেরকে মসজিদ ভিত্তিক
সকল জাতীয় সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করলেন। পুরুষরা অনেক সময় নারীদেরকে মসজিদে
যেতে বাধা দিত। কিন্তু রসুলাল্লাহ নির্দেশ দিলেন, ‘তোমরা নারীদেরকে মসজিদে যেতে
বাধা দিও না।’ অনেক নারী মধ্যরাতে অতিরিক্ত সালাহ কায়েমের জন্যও মসজিদে
আসতেন।
</div><div><br /></div>
<div>
ইসলাম বিয়ের ক্ষেত্রে কনের মতামত গ্রহণকে বাধ্যতামূলক করেছে, কনেকে তার দেনমোহর
নির্ধারণের স্বাধীনতা দিয়েছে। কোনো মেয়েকে তার পরিবার জোর করে বিয়ে দিলে
রসুলাল্লাহ সেই বিয়েকে বাতিল ঘোষণা করতেন। নারীরা রসুলাল্লাহকে নির্ভয়ে দফ বাজিয়ে
গান শোনাতে পারত, যে কোনো বিষয়ে কথা বলতে পারত। জুমার সময়ও নারীরা সরাসরি খলিফার
সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। এমনও হয়েছে যে, নারীরা খলিফা উমরের (রা.) সঙ্গে
যুক্তিতর্কে লিপ্ত হয়েছেন এবং খলিফাকে তাদের যুক্তির সামনে হার মানতে হয়েছে।
</div>
<div><br /></div>
<blockquote>
রসুলাল্লাহর যুগে নারীরা ছিলেন প্রাণবন্ত, উচ্ছল, আর বর্তমানে নারীরা পদে পদে
প্রতিহত। ইসলামের দোহাই দিয়েই তাদের স্বাধীনতাকে হরণ করা হচ্ছে। নারীকে
সৃষ্টিগতভাবে দুর্বল, বুদ্ধিহীন ও পুরুষের অধীন বলে প্রচার করা হচ্ছে। বিকৃত
পর্দা প্রথা চাপিয়ে দিয়ে তার পোশাকের স্বাধীনতা, চলাচলের স্বাধীনতাকে হরণ করা
হচ্ছে। পরপুরুষ যেন নারীকে দেখতে না পায়, এমনকি কণ্ঠও শুনতে না পায় সে জন্য বহু
মাসলা আবিষ্কার করা হয়েছে।
</blockquote>
<div><br /></div>
<div>
তালেবান অধ্যুষিত অঞ্চলে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা বারবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং
আমাদের দেশেও মুফতিরা নারীদের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকেই যথেষ্ট মনে
করছেন। ফলে নিজেদের যোগ্যতাকে বিকশিত করে জীবনের বৃহত্তর পরিসরে বিচরণ করার
সুযোগটাও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। জীবিকার তাগিদে যারা বাইরে গিয়ে কাজ করছেন তাদেরকেও
নানারকম নিন্দাবাদের শিকার হতে হচ্ছে যা তাদেরকে হীনম্মন্যতায় ডুবিয়ে রাখছে। যে
নারীরা শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা করেন তারাও গোনাহ হবে ভেবে নিজেদের সৃজনশীলতার
পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারেন না। এভাবে ইসলামের নামে বানোয়াট বিধি-নিষেধের বেড়াজালে
নারীদের স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে।
</div><div><br /></div>
<div>
এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে হেযবুত তওহীদ দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। এ আন্দোলন প্রতিটি কাজে
নারীদের অন্তর্ভুক্ত করেছে, তাদেরকে উৎসাহিত করছে নিজেদের সকল সম্ভাবনাকে
প্রস্ফুটিত করার জন্য এবং আল্লাহর প্রতিনিধি হিসাবে মানবজাতির কল্যাণে ভূমিকা
রাখার জন্য। শালীনতা বজায় রেখে নারী ও পুরুষ উভয়কে যে কোনো কাজ করার, যে কোনো
পোশাক পরার, যে কোনো শিল্পচর্চা করার, মতামত প্রকাশ করার, চলাফেরা করার পূর্ণাঙ্গ
স্বাধীনতা হেযবুত তওহীদ নিশ্চিত করেছে।
</div>
Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-57592483053972878852024-01-20T09:30:00.007+06:002024-02-07T08:46:48.066+06:00শরিয়তের দৃষ্টিতে মাজার জিয়ারত!<div>
মাজারে জিয়ারত নিয়ে বাংলাদেশের আলেম ওলামাদের মধ্যে ব্যাপক মতবিরোধ রয়েছে। একদল
মনে করেন মাজারে যাওয়া শেরক, বেদাত, না-জায়েজ। আরেকদল মনে করেন, আধ্যাত্মিক
উন্নতির জন্য অলি-আউলিয়া, বাবা-মা ও মো’মেন বান্দাদের কবর জিয়ারত সওয়াবের কাজ।
সাধারণ জনগণও এ ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত।
</div>
<div><br /></div>
<img
alt="শরিয়তের দৃষ্টিতে মাজার জিয়ারত"
border="0"
data-original-height="1365"
data-original-width="2048"
src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjUI9tTvyUKhTwLVJ1ncgQpZngLqrFJ1VIK1y5hjdXVd-wxDF-OB1rwFJwEHNAwBlXQ-R9dZ1plB3KjF7CmBCimENBya-6WrFPlXFTI9Gs63ESaJ8ZVUa0MZ1Y1OkJrmeV7WTKwQ4aqJoxPKzpS9FhfPwnf-_5Bat5G_f8NGNK0u73aQdwlgFxbiA7LC6o/s16000/%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%A6%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87%20%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4.jpg"
title="শরিয়তের দৃষ্টিতে মাজার জিয়ারত"
/>
<div><br /></div>
<div>
সম্প্রতি হেযবুত তওহীদের এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে কয়েক হাজার
লোক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর ১২তম
ওফাত দিবস উপলক্ষে তাঁর পারিবারিক কবরস্থান গোড়াই মাজার জিয়ারত করেন। এ সময় তিনি
দরুদ পাঠ, আলোচনা সভা, অতিথি আপ্যায়ন ও দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য বিতরণসহ নানা
আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। সেখানেই কোনো কোনো ব্যক্তি প্রশ্ন তোলেন যে, মাজারে এ
জাতীয় আনুষ্ঠানিকতা শরিয়তে কতটুকু বৈধ। <span><a name='more'></a></span>
</div>
<div><br /></div>
<div>
বস্তুত, মাজার একটি ফার্সি শব্দ, যার আরবি হলো কবর। কুবুর শব্দটি কোর’আনে আছে।
কবর বা মাজার জিয়ারত কতটুকু বৈধ তা আমরা প্রথমে দেখব পবিত্র কোর’আনে। পবিত্র
কোর’আনের একটি আয়াতে এ সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা পাওয়া যায় যেখানে আল্লাহ বলেন,
‘আর তাদের মধ্যে কারও মৃত্যু হলে আপনি কখনো তার জন্য সালাত পড়বেন না এবং তার
কবরের পাশে দাঁড়াবেন না; তারা তো আল্লাহ ও তাঁর রসুলকে অস্বীকার করেছিল এবং ফাসেক
অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে (সুরা তওবা ৮৪)।
</div>
<div><br /></div>
<div>
আল্লাহর এই হুকুমের কারণে রসুলাল্লাহ একজন মোনাফেক সর্দারের জানাজায় অংশ গ্রহণ
করেননি। সুতরাং কাফের, মোনাফেক ও ফাসেক ব্যক্তিদের কবর জিয়ারত বৈধ নয়। কিন্তু
রসুল (সা.) মদিনার সন্নিকটে অবস্থিত ‘জান্নাতুল বাকি’ নামক কবরস্থানে ওহুদ যুদ্ধে
শহীদ আসহাবদের কবরের নিকটে গিয়ে দীর্ঘসময় অবস্থান করতেন ও দোয়া পাঠ করতেন। এমনকি
হাদিসে ‘আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর’ বলে কবরবাসীদের জন্য সালাম জানানোর
নিয়ম আছে। কাজেই শহীদ, মো’মেন আত্মীয়স্বজন বা পূণ্যবান মো’মেন ব্যক্তির কবর
জিয়ারত করা, পরিদর্শন করা, সালাম পাঠানো গোনাহের কিছু নয়।
</div>
<div><br /></div>
<div>
প্রকৃতপক্ষে ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশসহ ভারতবর্ষে হাজার
হাজার মোজাহেদ, পীর, আউলিয়া, গাউস, কুতুব, দরবেশ এসেছেন। মৃত্যুর পর তাদের কারো
কারো কবরকে কেন্দ্র করে মাজার, খানকাহ ও দরবার শরীফ গড়ে উঠেছে। পরবর্তীতে এসব
মাজারকে কেন্দ্র করে একটি চক্র নানা ধরনের অবৈধ অর্থনৈতিক ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড
করেছে। সেখানে কবরপূজা, জুয়া-মাদকের প্রসার ঘটিয়েছে। এই ধরনের ফাহেশা কার্যক্রম
দেখেই একশ্রেণির আলেম ওলামা শরিয়তের দৃষ্টিতে এ কাজটিকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
</div>
<div><br /></div>
<div>
এছাড়াও কবরকে সামনে রেখে কবরে যিনি শায়িত আছেন তার কাছে যদি কেউ সন্তানাদি,
রোগমুক্তিসহ নানান দুনিয়াবি সংকট থেকে পরিত্রাণ কামনা করে বা কোন প্রার্থনা করে
তখন সেটা নিঃসন্দেহে শেরক কুফর হয়ে যাবে। কারণ কবরে শায়িত ব্যক্তির এগুলো দেওয়ার
কোনো ক্ষমতা নেই। সব ক্ষমতা আল্লাহর। তাই এসব চাইতে হবে আল্লাহর কাছে।
</div>
<div><br /></div>
<div>
কিন্তু সেখানে গিয়ে যদি কবরবাসীর প্রতি সালাম পাঠানো হয়, নিজেদের গোনাহের জন্য
ইস্তেগফার করা হয়, কবরবাসীর নাজাতের জন্য দোয়া করা হয়, জিয়ারতকালে যদি নিজের হৃদয়
পরকালের প্রতি বিগলিত হয় তখন সেটা দোষের কিছু নয়। সুতরাং কবর জিয়ারত তখনই অবৈধ
হবে যখন জিয়ারত করার নামে অনৈতিক ও ফাহিশা কাজ করা হবে, শিরক কুফর হবে। কিন্তু
শুধু দোয়া, ইস্তেগফার বা নিজেদের চরিত্র সংশোধনের জন্য কোন সফর করা হলে সেটাকে
শরিয়ত বিরোধী বলার কোনো অবকাশ নেই। হেযবুত তওহীদের এমাম শরিয়তের এসকল সীমারেখা
মাথায় রেখেই মাজার জেয়ারত করেছেন।
</div>
Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-62255355996101484542024-01-05T10:30:00.008+06:002024-02-07T08:47:01.574+06:00কৃষিকাজে হেযবুত তওহীদের নারী<p>
হেযবুত তওহীদের মেয়েরা ছেলেদের পাশাপাশি ফসল উৎপাদনের কাজেও ভূমিকা রাখেন এবং
স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে থাকেন। এটা তারা জীবিকার প্রয়োজনেই করেন না, আন্দোলনের কাজ
হিসাবেও করেন। কারণ এসব ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে আন্দোলনের ফান্ড আসে। ইসলাম
নারীদেরকে ফসলের মাঠে কাজ করার অনুমতি দেয় কিনা সে প্রশ্ন যারা তুলবেন তাদের জন্য
কিছু হাদিস উল্লেখ করি।
</p><p><br /></p>
<img alt="কৃষিকাজে হেযবুত তওহীদের নারীরা" border="0" data-original-height="462" data-original-width="773" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhU4JxvBccjofvjI5yhjFMuiSA89HDH_9Y_Nk_HJQXXYCjjrjeSxO-bHXrZNBglrqkwzS8FsTN0sjuXjeb42U6uEEDTHXt6ItNB7q2AB65auTdsVRgmweZDJfEGEvohfMH9RGAhgCxminxaVZyDYfBDpn3VBOf23X50fi0ioTBzZsc4cbYTWwp195QCunc/s16000/%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%20%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A4%20%E0%A6%A4%E0%A6%93%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE.jpg" title="কৃষিকাজে হেযবুত তওহীদের নারীরা" />
<p><br /></p>
<p>
নবীজী সা:-এর স্ত্রী উম্মুল মোমেনীন খাদিজা (রা.) ছিলেন মক্কার শ্রেষ্ঠ সম্পদশালী
মহিলা, যিনি নিজের ব্যবসায় পরিচালনা করতেন। তার সাথে বিয়ের আগে ও পরে নবীজী তার
ব্যবসায় তদারকি করতেন।
</p>
<a name='more'></a>
<p>
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত- পর্দার আয়াত নাজিল হওয়ার পর উম্মুল মোমিনিন সাওদা
(রা.)-কে বাইরে যেতে দেখে ওমর (রা.) তাঁর সমালোচনা করেন। ঘরে ফিরে এসে তিনি
নবীজীর কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন। তখনই নবীজী (সা)-এর ওপর ওহি নাজিল হয়।
তারপর তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা তোমাদের
অনুমতি দিয়েছেন’ (বুখারি)।
</p>
<p>
নবীজীর অনেক সাহাবির আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে
হতো। এক বেলা খেলে পরের বেলা খাবার জুটত না। তাই অনেক সাহাবির স্ত্রীরও তার
স্বামীর সাথে আয়-রোজগারে শরিক হতেন। সাংসারিক বোঝা লাঘবে স্বামীদের সহযাত্রী
হতেন। এতে যেমন পরিবারের বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা হতো, তেমনি স্বামীর প্রতিও অনুগ্রহ
করা হতো।
</p>
<p>
বুখারির কিতাবুন নিকাহতে বর্ণিত একটি হাদিসে আমরা দেখি, আবু বকর (রা.)-এর কন্যা
আসমা (রা.) তাঁর সাংসারিক জীবনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, জুবায়েরের সাথে সবেমাত্র
আমার বিয়ে হয়েছে। একটি পানিবাহী উট আর একটি ঘোড়া ছাড়া সম্পদ বলতে তার আর তেমন
কিছুই ছিল না। আমি নিজেই ঘাস কেটে ও পানির পাত্র ভর্তি করে তার ঘোড়া ও উটকে আহার
দিতাম। আবার আমাকেই আটার খামি বানিয়ে রুটি তৈরি করতে হতো যদিও আমি ভালো করে রুটি
তৈরি করতে পারতাম না তখনো। তবে এ কাজে আমার ঘনিষ্ঠ ও নিঃশর্ত কিছু বান্ধবী
প্রতিবেশী আমাকে সাহায্য করত। আমাদের এই দুরবস্থা দেখে নবীজী বাড়ি থেকে দুই মাইল
দূরে একখণ্ড জমি চাষ করতে দিয়েছিলেন। সেই জমি থেকে খেজুরের আঁটি বেঁধে আমি নিজে
মাথায় করে আনছিলাম। পথে নবীজীর সাথে আমার দেখা হয়ে গেল। তখন তাঁর সাথে ছিলেন কিছু
আনসারি সাহাবি। আমি তাদের সাথে পথ চলতে লজ্জাবোধ করছিলাম। নবীজী আমার ইতঃস্তত
মনোভাব বুঝতে পেরে আমাকে অতিক্রম করে দ্রুত চলে গেলেন।
</p>
<p>
লক্ষ্য করুন, নবীজীর সমাজব্যবস্থায় নারীরা কিভাবে অর্থনৈতিক কাজে অংশগ্রহণ করত।
পারিবারিক ব্যয় নির্বাহে স্বামীর সহযোগী হয়ে আবার কখনো কখনো স্বামীর চেয়েও বেশি
দায়িত্ব পালন করে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্যপরায়ণতার নজির স্থাপন করত। বুখারি
শরিফের কিতাবুল জুময়ায় বর্ণিত আরেকটি হাদিসে নবীজীর সাহাবি সাহল ইবনে সাদ একজন
মহিলার কথা উল্লেখ করেন, যার নিজের ফসলি জমি ছিল। তিনি তার জমিতে সেচ দিয়ে গাজরের
চাষ করতেন। সাহল ইবনে সাদসহ অন্যান্য সাহাবি জুমার দিন তার বাড়িতে বেড়াতে গেলে
তিনি গাজর ও আটার তৈরি পায়েশ খেতে দিলেন।
</p>
<p>
নবীজীর কাছে এসে মহিলারা ব্যবসায়-বাণিজ্যের বিভিন্ন নিয়ম-নীতি জেনে নিতেন। নবীজী
তাদের কাছে ইসলামের বাণিজ্যনীতি সবিস্তারে বর্ণনা করতেন। একবার এক মহিলা সাহাবি
নবীজির কাছে এসে নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, আমি একজন মহিলা। আমি ব্যবসায় পরিচালনা
করি। আমাকে ইসলামের বাণিজ্যনীতি সম্পর্কে অবহিত করুন। এরপর ওই মহিলা নবীজীর কাছ
থেকে সবিস্তারে ব্যবসায়সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি জেনে নিলেন (তাবাকাতে ইবনে সাদ, অষ্টম
খণ্ড, পৃষ্ঠা-২)।
</p>
<p>
বিখ্যাত সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা:-এর স্ত্রী রায়িতা রা: হস্তশিল্পে দক্ষ
ছিলেন। তিনি বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করতেন এবং উপার্জিত অর্থ দান
করে দিতেন (মুসনাদে আহমাদ-১৬০৩০)।
</p>
<p>
আমাদের দেশে বহু নারী এভাবেই মাঠে কাজ করেন, ব্যবসা বাণিজ্য করেন, বহু নারী
গার্মেন্ট কারখানায় কাজ করেন। তাদের এই জীবিকা নির্বাহকে ইসলামের পণ্ডিতরা
সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ফতোয়ার বাণও নিক্ষেপ করেন। এর ফলে
নারীদের মনেও একটা হীনম্মন্যতা সৃষ্টি হয়, তারা ভাবেন যে এতে পর্দার খেলাফ হচ্ছে
বা ইসলামের বিধান লংঘন হচ্ছে। বস্তুত তা নয়। হেযবুত তওহীদ নারীদের মর্যাদাপূর্ণ
জীবন, জীবিকা অর্জনের স্বাধীনতা, কর্মের ও চলাফেরার অধিকারকে ইসলামের আলোয় তুলে
ধরার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।
</p>
Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-44116737908302618342023-11-28T14:42:00.012+06:002024-02-07T14:47:11.256+06:00একদিন এই কঠিন প্রশ্নটি সন্তানদের সামনে আসলো<div>
বাবা-মা আর তাদের দশটা সন্তান নিয়ে বড় একটা পরিবার। সন্তানগুলো বাবা-মাকে খুব
ভালোবাসে। বাবা-মাও তাদেরকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। বাবা কঠিন পরিশ্রম করে মাথার ঘাম
পায়ে ফেলে উপার্যন করেন এবং সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেন, সন্তানদের বিভিন্ন
চাহিদা পূরণ করেন। নিজে হাজার কষ্ট সহ্য করলেও সন্তানদের কষ্ট হবে এমন কাজ তিনি
করতে পারেন না। তবে অন্যায় কাজ থেকে ফেরানোর জন্য বাবার কঠরতাও আছে, তিনি
সন্তানদের কড়া শাসনের মধ্যেও রাখেন।
</div><div><br /></div>
<img alt="একদিন এই কঠিন প্রশ্নটি সন্তানদের সামনে আসলো" border="0" data-original-height="960" data-original-width="1280" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgG648orFDc223bRdiaeDCLhYoUK5veFn50VRvTQNfSUecYfSlGO-Yff8qYJ1WRve-jCVyMYTu5zA1L3qhB6mQlbCDbTjFpeBjHJw9D4Q-SyJWdffY9mSuvQ-f6gQYOwJgeohmumgXdv2LwWOBRi7XGFFBcF60woLC5aA-jOOkj9_p95yd7BDvG7n0PCLg/s16000/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%20%E0%A6%8F%E0%A6%87%20%E0%A6%95%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%A8%20%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%9F%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%87%20%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A7%8B.jpg" title="একদিন এই কঠিন প্রশ্নটি সন্তানদের সামনে আসলো" /><div><br /></div>
<div>
মা এত শাসন বোঝেন না, তাঁর হৃদয় কেবল মায়া-মমতা দিয়ে গড়া। সন্তানদের সামান্য কষ্ট
দূর করার জন্য তিনি নিজের কলিজাটা কেটে দিতেও রাজি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত
তার কোনো বিশ্রাম নেই, বাড়ির সকল কাজ একা হাতে সামলান। সন্তানরা অসুস্থ হলে মায়ের
মনে আর সুখ থাকে না, চোখে আর নিদ থাকে না।<span></span>
</div>
<a name='more'></a>
<div><br /></div>
<div>
এই সন্তানদের কাছে সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন হলো- তোমরা কাকে বেশি ভালোবাসো, মাকে নাকি
বাবাকে?
</div>
<div>
মাকে ভালোবাসা মানেই তো বাবাকে ভালোবাসা আবার বাবাকে ভালোবাসা মানেই তো মাকে
ভালোবাসা। তারা দুটোকে আলাদাভাবে কল্পনাই করতে পারে না। মা আর বাবা যেন একটা
অভিন্ন সত্ত্বা।
</div><div><br /></div>
<div>
একদিন এই কঠিন প্রশ্নটি সন্তানদের সামনে আসলো। বাবা-মায়ের ডিভোর্স হলো। কিছু
সন্তান বাবার সাথে আর কিছু সন্তান মায়ের সাথে চলে গেল। একে অপরের থেকে বহু দূরে
চলে গেল তারা। তারা কেউ কি সুখী হতে পারবে?
</div>
<div><br /></div>
<blockquote>
ধর্ম এবং রাষ্ট্র ঠিক এই বাবা-মায়ের মতো। যখন এ দুটো জিনিস একসাথে তখন নাগরিকদের
জীবনে শান্তি আসে আর যখন কিছু অসাধু মানুষ ধর্ম এবং রাষ্ট্রকে একে অপরের মুখোমুখি
দাঁড় করিয়ে দেয়, তখন নাগরিকদের জীবন থেকে শান্তি চলে যায়।
</blockquote>
<div><br /></div>
<div>
বর্তমানে রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে এভাবে পৃথক করা হয়েছে কেবল পৃথকই করা হয়নি একেবারে
একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে। এর ফলে একটা শ্রেণি ধর্মকে অবজ্ঞা করছে আর
আরেকটা শ্রেণি রাষ্ট্রের আইন-কানুন, রাষ্ট্রের কোনো বিষয়েই শ্রদ্ধাশীল নয়। তারা
কেবল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ফলাফল- বর্তমানের অশান্ত পৃথিবী।
</div>
Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-43408288998480870772021-11-09T21:56:00.007+06:002021-11-09T21:57:35.937+06:00 স্বকৃত নোমানের ‘উজানবাঁশি’ <p>
উজানগাঁ। চাঁদমারি জেলার গগনতলা উপজেলার অন্তর্গত সীমান্তবর্তী গ্রাম। সেখানে আছে
এক অপ্রশস্ত নদী, যার নাম নীলাক্ষী। এপার থেকে ঢিল ছুঁড়লে ওপারে গিয়ে পড়ে। ওপারে
দুইশ কুড়ি একরের নয়নচর, যার মালিকানা নিয়ে সেই পাকিস্তান আমল থেকে চলছে দুই দেশের
সীমান্তরক্ষীদের মারামারি। কিছুদিন আগেও সেখানে কাঁটাতারের বেড়া ছিল না, ছিল শুধু
বিডিআর-বিএসএফ জওয়ানদের টহলদারি ও চেকপোস্ট। সীমান্ত মানেই চোরাকারবারি, স্থানীয়
পরিভাষায় ব্ল্যাক। গ্রামের মানুষের মূল পেশা এটাই। রাজকাটা প্রান্তর পার হয়ে, নো
ম্যানস্ ল্যান্ডের ওপারে প্রতিবছর চৈত্রসংক্রান্তির মেলায় চড়কপূজা হয়। সীমানা
পেরিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকরাও যোগ দেয় মেলায়। সেটা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য।
</p>
<p>
এই পটভূমিতে ‘<b>উজানবাঁশি</b>’ উপন্যাসের ছবি এঁকেছেন কথাসাহিত্যিক
<b>স্বকৃত নোমান</b>। সময় পরিবর্তন হয়, পরিবর্তন হয় মানুষের জীবনযাত্রা ও
জীবনদর্শনের। বাংলাদেশ ও ভারতের এই সীমান্তে সেই পরিবর্তনের রূপ কেমন ছিল,
আধুনিকতার আগমনে পূর্বপুরুষের সঙ্গে উত্তরপুরুষের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মনোভাবের
পার্থক্য ও বিরোধগুলো কী আঙ্গিকে প্রকাশিত হচ্ছিল, তা-ই উপন্যাসের উপজীব্য।
সময়কাল মুক্তিযুদ্ধ থেকে নতুন শতাব্দীর প্রথম দশক পর্যন্ত।
</p>
<br />
<img
alt="উজানবাঁশি"
border="0"
data-original-height="720"
data-original-width="1280"
src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEhDxwjMX2ilFrK4L7lwWS00d3sGmxqinm5XCLetQeSEO5LbcsmKJZqz-gdGSHLIiAM6d3QlHDoAlXPfXH25B80cd6UPSE5o4GfkVh0PGmSEHPIp2KYsTj0jxgL2k7eU6tquSZLQM_Y2ZpTs73X0cj2Y5KLeIm9XlDqANzbuPe5dR2lDJtxODWmbbAIQ=s16000"
title="উজানবাঁশি"
/>
<br />
<br />
<p>
সীমানার এপারে ওপারে একই সংস্কৃতি, একই ভাষা, একই জীবনধারা। তবু কৃত্রিম সীমানা
রেখা টেনে জোর করে মানুষকে আলাদা করা হয়েছে। ওপারে পূজার প্যান্ডেলে গান গাইতে
আসেন মান্না দে, বাজে রাজা হিন্দুস্তানী ছায়াছবির গান। একই সুর বাজে এপারের
মানুষের মুখে। এপারের শালিক ওপারে উড়ে যায়, তাদের জন্য কোনো সীমানা নেই। মানুষের
জন্য কেন তবে এই জবরদস্তি? হিন্দু মুসলিম দুই দেশেই আছে এখনও। তাহলে ধর্মের
ভিত্তিতে দেশভাগের উদ্যোগটাও তো ব্যর্থই বলা চলে। তাহলে? গ্রাম্য প্রবীণ হানু
ব্যাপারি দেশভাগের কথা উঠলেই বলেন, ‘সবই বিটিশরার চালাকি। চালাকি কইরা তারা
দেশটারে দুই টুকরা কইরা রাইখা গেছে। হালারা, দেশ কি তালের পিঠা?’
</p>
<p>
কায়েদ মওলানার দাদা এবাদত রেজার দাদার নাম ‘জগৎধর দাস’। তিনি মুসলিম হয়ে আরায়েত
হোসেন নাম গ্রহণ করেন। তাহলে রক্তের ধর্ম কী? রক্ত না হিন্দু, না মুসলিম।
শরিয়তপন্থী কায়েদ মওলানা করাচির মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে মওলানা হয়েছেন। এক জীবন
ধরে চলে তার ইসলামের গোড়াপন্থী ধারণা থেকে উদারপন্থী ধারণায় উত্তরণ, দৃষ্টিভঙ্গির
ভাঙাগড়া। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যিনি একসময় জুমার খোতবায় ঘৃণা ছড়াতেন, সেই
তিনিই জীবনের শেষ প্রান্তে হিন্দুদের জন্য দোয়া করেন, রবীন্দ্রনাথের গান শুনে
চোখের জলে ভাসেন, মিল খুঁজে পান রুমি হাফিজ খৈয়ামের ‘ইসলামিক’ শেরের সঙ্গে লালনের
‘বাউল’ গানের। দুলে ওঠে তার ‘বোধের ঘণ্টা’। যিনি প্রিয় সন্তান মোহনকে আলিয়া
মাদ্রাসায় পড়াতে রাজি ছিলেন না, কারণ আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা কাটা পাঞ্জাবি আর
প্যান্ট পরে। এগুলো পরা হারাম। পরতে হবে গোল ‘ওহাবি’ জোব্বা।
</p>
<p>
তার মতে আরবি, উর্দু ও ফারসি মুসলমানের ভাষা। এ তিন ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষায়
লেখাপড়া করা হারাম। চেয়ার টেবিলে বসে কোর’আন পড়া হারাম। একইভাবে নারী শিক্ষাও
হারাম। দুনিয়া তার চোখে এক ডাইনি বুড়ি যে পুত্র মোহনকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করবে।
কিন্তু রহস্যপুরুষ গল্পকথক মোখেরাজ খান মোহনের মনের মধ্যে বলেন, এই পৃথিবী কোনো
ডাইনি বুড়ি নয়। এই পৃথিবী বেহেশতের বাগান, স্রষ্টার অপরূপ দান। মানুষকে সৃষ্টি
করা হয়েছে দুনিয়াকে আবাদ করার জন্য, বসে বসে এর ফলমূল খাওয়ার জন্য নয়।
</p>
<p>
এভাবে বিকৃত ইসলামের ধ্যানধারণাগুলোকে ধর্মের উক্তি ও যুক্তি দিয়েই খণ্ডন করা হয়
কাহিনীর ভাঁজে ভাঁজে। যার পরিণামে এক যুগ পরে সেই দরিদ্র কায়েদ মওলানাই পুত্র
মোহনকে নিজে সঙ্গে নিয়ে মাস্টার্স-এ ভর্তি করান, বই কিনে দেন। পিতার সঙ্গে
সন্তানের আদর্শের দ্বন্দ্বকে আশ্রয় করে প্রকাশিত হয়েছে প্রাচীনতা ও আধুনিকতার
সংঘাত। সংঘাত মেটাতে কখনও উঠে আসে কোর’আনের আয়াত, নবীদের জীবনকাহিনী, কখনও আসে
ইতিহাসের পাতা, আসে গীতা-মহাভারতের শ্লোক, লোকনাথ ব্রহ্মচারীর বাণী, কখনও আসে
মোখেরাজ খানের বর্ণিত বিভিন্ন উপকথা।
</p>
<p>
লাঠিয়াল সর্দার কালাগাজি যুদ্ধের সময় রাজাকারিতে লিপ্ত হয়। বিশ্বাসঘাতকতা করে
ভূস্বামী অনাদি দত্তের সঙ্গে, যে অনাদি দত্ত মাদ্রাসা নির্মাণের জন্য দুই লক্ষ
টাকা কায়েদ মওলানার হাতে তুলে দিয়েছিল। কিন্তু হিন্দু হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তার টাকা
কালাগাজির চাপে ফেরত দিতে বাধ্য হন কায়েদ মওলানা। কালাগাজি দেশ ছাড়তে বাধ্য করে
এলাকার সম্ভ্রান্ত ও সাধারণ হিন্দু পরিবারগুলোকে। এই নোংরা গ্রাম্য রাজনীতি
গণতান্ত্রিক রাজনীতিতেও ঠাঁই পায় যথারীতি। সেখানে চলে আইনকে পাশ কাটিয়ে এমপি আর
দুর্নীতিগ্রস্ত মেয়র আর তাদের সন্ত্রসাীদের কুকর্ম। সেই কুকর্মের পরিধির মধ্যে
ছাগল বলাৎকার, গণধর্ষণ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কুপিয়ে, পুড়িয়ে হত্যা পর্যন্ত কিছুই
বাদ থাকে না। তাদের লেবাস কালাগাজির মতো নয়, তারা সভ্য, শিক্ষিত। তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের আমলে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী সাংসদ কুতুব বকশিকেও উজান গাঁয়ের সীমানা পেরিয়ে
ভারত চলে যেতে হয়। ইতিহাস ফিরে আসে।
</p>
<p>
ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের প্রতিনিধি হিসাবে উপন্যাসে মোলাকাতে ইসলামী ও
ছাত্র মুসাবা নামে সংগঠনকে হাজির করা হয়েছে। তাদের সাম্প্রদায়িক চিন্তাচেতনা ও
রবীন্দ্রবিদ্বেষ, তাদের রগকাটা ও সন্ত্রাসীপনা আশি-নব্বই দশকের রাজনৈতিক
পরিস্থিতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
</p>
<p>
খানিকটা আদর্শবাদী মোহন রেজাও সাংবাদিকতা করতে গিয়ে সত্য গোপন রাখার শর্তে
প্রভাবশালী দুর্বৃত্তের টাকা গ্রহণ করে। উঠতি যৌবনের ডাকে সাড়াও দেয় বারবার।
বুঝতে পারে প্রেম ও দৈহিক টানের ফারাক। শেষে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় ফেরারি
জীবনের কষ্ট ভোগ করে ফিরে আসে রবীন্দ্রনাথের “বিপদে মোরে রক্ষা করো- এ নহে মোর
প্রার্থনা” পড়ে। সাতদিন কারাবাস করলেও মিথ্যা মামলার দায় থেকে মুক্তিলাভ করে
সম্মানের সাথে। জজ সাহেব আসামী সাংবাদিক মোহনকে প্রশ্ন করেন, এ পৃথিবীতে সবচেয়ে
পবিত্র কী জিনিস? মোহন জবাব দেয় গীতা থেকে- “ন হি জ্ঞানেন সদৃশং পবিত্রমিহ
বিদ্যতে, এই জগতে চিন্ময় জ্ঞানের মতো পবিত্র আর কিছুই নেই।” আদালতের এজলাসের মতো
আত্মাহীন জায়গায় উচ্চকিত হয় সাহিত্য ও বিশুদ্ধ জ্ঞানের মহিমা।
</p>
<p>
বহুদিন আগে একটি জমি খুড়তে গিয়ে কায়েদ মওলানা খুঁজে পেয়েছিলেন এক প্রাচীন
শিলালিপি, যেখানে উৎকীর্ণ ছিল গীতার এই শ্লোক। এর অর্থ ও উৎস তালাশ করার জন্য বহু
বই পড়তে হয় মোহনকে। এই জ্ঞান আহরণের যাত্রাপথে আসে অনেক বাঁক। তার চোখের সামনে
থেকে সরে যেতে থাকে একেকটি আঁধার যবনিকা। গোটা উপন্যাসে লেখক যা কিছু দেখেন তার
চরিত্রের চোখ দিয়েই দেখেন, নিজের দর্শন দিয়ে পাঠকের মগজ ভারী করার প্রয়াস করেন
না। তিনি উপন্যাসের মূল চরিত্রকে দেবতায় পরিণত করেন না, পাপ-পুণ্যের অস্থিরতার
মধ্যেই তাদের বসবাস, তারা পৃথিবীর জীব। তরুণ মোহন তারার আলোয় হেঁটে হেঁটে আবৃত্তি
করেন জীবনানন্দের বোধ। “জানো না কি চাঁদ/ নীল কস্তুরি আভার চাঁদ/ জানো না কি
নিশীথ/ আমি অনেক দিন/ অনেক অনেক দিন/ অন্ধকারের সারাৎসারে অনন্ত মৃত্যুর মতো মিশে
থেকে/ হঠাৎ ভোরের আলোর মূর্খ উচ্ছ্বাসে নিজেকে পৃথিবীর জীব বলে/ বুঝতে পেরেছি
আবার...।”
</p>
<p>
কায়েদ মওলানাও জানেন, আল্লাহর কালাম বিক্রি করে টাকা নেওয়া হারাম, তাই তিনি
‘হাদিয়া’ নেন। সেটাও তিনি হাতে নেন না, দপ্তরের দরজায় রেখে যায় সবাই। এই ক্ষেত্রে
তিনি আর দশজন মোল্লা-মুন্সির মতই ধর্মজীবী। পাশাপাশি কৃষিকাজও করেন। তিনি খোতবাতে
ব্ল্যাকারদের (চোরাকারবারি) নসিহত করেন এই পেশা থেকে ফেরার জন্য। তাদেরকে নামাজের
প্রথম কাতারে দাঁড়াতে দেন না। কিন্তু ফল উল্টো। ব্ল্যাকাররা মসজিদে আসাই বন্ধ করে
দেয়। তারা বলে, মওলানার পেশাই হচ্ছে এসব উপদেশ দেওয়া। এজন্য তাকে বেতন দেওয়া হয়,
জমি দেওয়া হয়। ধর্মনেতাদের ওয়াজ-নসিহতের অসারতা ও প্রভাব সৃষ্টির অক্ষমতা এ ঘটনার
মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। চোরাকারবারি যে হারাম এমন কথা কেতাবে লেখা আছে কিনা জানতে
চাইলে কায়েদ মওলানা নির্বাক হয়ে যান। কারণ এমন কথা তো কোনো কেতাবে লেখা নেই;
ইসলাম তো সীমানাহীন পৃথিবীতে বিশ্বাসী।
</p>
<p>
তবে উপন্যাসে ইসলামের শরিয়তপন্থী চিন্তাধারা থেকে ভারসাম্যহীন ও বিকৃত সুফিবাদকেই
‘মন্দের ভালো’ বানানো হয়েছে। একইভাবে কওমী মাদ্রাসার চেয়ে আলীয়া মাদ্রাসাকে উত্তম
বলে প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আলীয়া মাদ্রাসা ব্রিটিশদের একটি অবদান, যে
মতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করার সঙ্গত কারণ রয়েছে, বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
আলীয়ার পাঠ্যসূচির মধ্যে বিজ্ঞান-অঙ্ক ইত্যাদি ছিল ও আছে। কিন্তু সেখানে ‘ইসলাম’
হিসাবে যেটা শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, সেটা ছিল ব্রিটিশ প্রাচ্যবিদদের তৈরি করা
সিলেবাস মোতাবেক ব্যক্তিগত জীবনের নানাবিধ আমল ও মাসলা-মাসায়েলসর্বস্ব একটি বিকৃত
ইসলাম। সেটা আল্লাহ ও রসুলের প্রকৃত ইসলাম ছিল না। সেটা ব্রিটিশ শাসনের প্রতি
অনুগত ধর্মজীবী আলেম ওলামা তৈরির কারখানামাত্র।
</p>
<p>
পক্ষান্তরে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা থেকে মুসলমানদের পিছিয়ে রাখার জন্য এবং তাদেরকে
জঙ্গিবাদের ঘুঁটি বানানোর জন্য যে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা কওমী বা খারেজি
মাদ্রাসার পেছনে কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালে, এমন সত্যও প্রকাশিত হয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে
মুসলমানদের পিছিয়ে থাকাকেই তাদের আজকের লাঞ্ছনা ও হীনতার কারণ মনে করা অবশ্য বড়
একটা বিভ্রান্তি। কারণ ইতিহাস বলে, মুসলমানরা যখন বহিঃশত্রুর দ্বারা পরাজিত
হয়েছিল, সে সময়টিতে তারাই ছিল সকল প্রকার জ্ঞান বিজ্ঞানের ধারক-বাহক-শিক্ষক।
বস্তুত তাদের জাতিগত পরাজয়ের কারণ ছিল তাদের প্রাথমিক যুগের দুঃসাহসী সামরিক
চরিত্র ও প্রেরণা হারিয়ে ফেলা; যার জন্য দায়ী দীনের অতি-বিশ্লেষণকারী আলেম
ওলামাদের সৃষ্ট মাজহাব-ফেরকাগত ঐক্যহীনতা এবং বিকৃত অন্তর্মুখী সুফিবাদী দর্শনের
প্রভাবে জাতির সংগ্রামবিমুখতা ও দুনিয়াবিমুখতা।
</p>
<p>
পাঠক হিসাবে আমার ব্যক্তিগত রুচির সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাঁধিয়েছে উজানবাঁশির একটিমাত্র
বিষয়। সেটা হচ্ছে, আদিরস বা অশিষ্ট শব্দের অকারণ প্রয়োগ। একজন ঘুমন্ত ব্যক্তিকে
সাপে কামড়েছে। সে সময় তার দেখা আদিরসাত্মক স্বপ্নটির বর্ণনা ছাড়াও কাহিনীটি
পূর্ণতা পেতে পারত। একটি মেয়ে সকাল বেলা নদীতে এসে একটি বিশেষ ন্যাকড়া ধুচ্ছে।
তাকে দিয়ে কলস ভরালে কী দোষ ছিল? পোশাকহীন বাঘামামার অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপমা সহযোগে
পুনঃপুনঃ উল্লেখের আদৌ কোনো প্রয়োজন ছিল কি? এ বিষয়গুলো হয়ত উপন্যাসের গাম্ভীর্য
খর্ব করেছে।
</p>
<p>
উজানবাঁশিতে বিলুপ্তপ্রায় ছিন্নমূল সাপুড়েদের জীবনযন্ত্রণার করুণ চিত্র যে কোনো
পাঠককে ব্যথিত করবে। প্রতিনিয়ত অপমান সয়ে যাওয়া, কোথাও বিচার না পাওয়া, একবেলা
খেয়ে না খেয়ে জীবনধারণ করা তাদেরকে পেশাত্যাগে বাধ্য করে। সারাদিন সাপের ঝুড়ি আর
বীন নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরেও দশটা টাকাও কামাতে পারেনি তরুনাথ। রাগে, দুঃখে,
অভিমানে সে সাপগুলোকে জঙ্গলে ছেড়ে দেয়, কিন্তু সাপগুলো তাকে ত্যাগ করে না। ক্রম
অগ্রসরমাণ যন্ত্রসভ্যতার আগ্রাসনে পূর্বের বহু পেশা হারিয়ে যাবে এটা স্বাভাবিক
হলেও বেদনার।
</p>
<p>
উপন্যাসের কালখণ্ডে গ্রামীণ বাংলার জীবনযাত্রায় যন্ত্রসভ্যতার হুলুস্থুল বাঁধেনি।
জলে-জঙ্গলে তখনও জ্বিনদের বসতি। তারা কেউ মণিধর সাপ সেজে থাকে, কেউ মানুষকে ভয়
দেখায়, আবার কেউ মড়াখেকো। আলখেল্লা পরে অনাদি দত্তের ভুতকে মাঝরাতে রবীন্দ্রনাথের
মতো হেঁটে বেড়াতে দেখেছে গ্রামের শিক্ষিত-অশিক্ষিত, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে
বহুমানুষ। আবু তোয়াব নামে একজন আসবেন, তিনি গ্রামবাসীকে সঠিক পথ দেখাবেন এমন
জনশ্রুতি তাদের মধ্যে গেঁড়ে দিয়েছে এক অপেক্ষা। অনেকটা ইমাম মাহদির (আ.) জন্য
অপেক্ষার মতো, যা জাতিকে নিশ্চেষ্ট করে। গ্রামে পোশাকহীন এক রহস্যময় ব্যক্তির
আগমনের পর তাকেই অনেকে আবু তোয়াব বলে ধরে নেয়। তাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠে তারা।
তার মৃত্যুর পর চলে মাজার তাকিয়া, চলে উরস আর শিরনির সংস্কৃতি। আসে এক রহস্যময়
বাঘ, যার পেটে বাঘামামা চল্লিশ বছর ছিল বলে গুজব রয়েছে। ধর্মীয় আবেগ উভয় পারের
মানুষের মধ্যে এতটাই প্রবল হয়ে ওঠে যে, তারা রাষ্ট্রীয় সীমানাকে অস্বীকার করে,
পদদলিত করে সীমান্তরক্ষীদের।
</p>
<p>
যদি প্রশ্ন করা হয়, উজানবাঁশি পড়ে একজন পাঠক কী পাবে, আমি বলব এমন একটি সময়কে
পাবে যে সময়টা আমরা সবেমাত্র পার হয়ে এসেছি, যার রেশ এখনও বর্তমান। অজ্ঞানতাকে
পেছনে ফেলে জ্ঞানকে শক্তিতে রূপান্তরিত করার স্পৃহা সে পাবে। ধর্মের নামে ঘৃণা
বিদ্বেষ নয়, মানবতাবোধকে জাগ্রত করার শিক্ষা সে লাভ করবে। ধর্মকে অন্ধবিশ্বাসের
বস্তু হিসাবে গ্রহণ না করে এক্ষেত্রেও যুক্তিপ্রয়োগ ও প্রশ্ন করতে শিখবে। কেবল
বিনোদন দেওয়ার জন্য যেসব উপন্যাস লেখা হয়, উজানবাঁশি সে কাতারে পড়ে না।
</p>
Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-2254404420173830932021-11-08T20:37:00.005+06:002021-11-08T20:38:13.651+06:00শিশুদের ভিন্ন শৈশব<div class="separator"><div class="separator" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em; text-align: center;"><img alt="শিশুদের ভিন্ন শৈশব" border="0" data-original-height="470" data-original-width="489" height="352" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEi_gNbyZmrVOXgAdR-bhOOOqFe_pNbT4onSLWWoiXQajGPEyVOJfYif1i0lCMv6n02D_R7Lpi5MA8T35zgSmwdJMxGQnQznRIO_vMLnd9SagEPiz9hLY6ee8II_eD7m_lkCd0njE3aJJMiBmNCpGy8vnIDOiEjdHHOzIpTg5ngMmb4Yz_X6ZpCOwx9m=w366-h352" title="শিশুদের ভিন্ন শৈশব" width="366" /></div></div>কেউ আবর্জনা টানছে, কেউ টানছে শিক্ষার ভার। শৈশবের চাকা আটকে গেছে ব্যস্ততার খাদে। এটা যে শহর!<p></p><p style="text-align: justify;">এখানে শিশুরা বড় হচ্ছে চার দেওয়ালের মাঝে, আকাশ দেখছে কেবলই জানালার ফোকর দিয়ে, জ্যামে আটকা পড়া গাড়িতে বসে কালো গ্লাসের মধ্যে দিয়ে তেজহীন তীর্যক রোদ গায়ে পড়লেও যেন তাদের গা পুড়ে যায়। ক্রিকেট হোক আর ফুটবলই হোক এদের সব খেলাই মোবাইল, ট্যাব অথবা কম্পিউটারে। শৈশবে একজনার প্রতিদিন কতটুকু দৌড়ানো উচিত, বাইরের আলো-বাতাস কতটা উপকারী, রোদে কোন ভিটামিন থাকে সবই তার মুখস্থ, পরীক্ষায় যে সেটা লিখতে হয়।</p><p style="text-align: justify;">শহুরে শিশুদের আকেরটা শ্রেণি যুক্ত শিশুশ্রমের সাথে। তাদের লক্ষ্য কেবল তিন বেলা অন্ন জোগাড়। তারা কেবল জানে খাবারের জন্য শ্রম দিতে হয়। শহুরে শিশুদের শৈশব এমনই!</p><p style="text-align: justify;">অপরপক্ষে গ্রামের শিশুরা বড় হয় প্রচণ্ড দুরন্তপনা নিয়ে। গ্রামের ধনী-গরিবদের মাঝে ব্যবধান অনেকটা কম। তাই সব বাড়ির শিশুরাই একসাথে খেলা করে। রোদ-ঝড়-বৃষ্টি কোনো কিছুর তুয়াক্কা না করে মাঠ-ঘাট, বন-বাদাড় সব এক করে বেড়ায়। নদীতে গোসল, সাতার, গাছ থেকে লাফিয়ে পানিতে পড়া, কত রকম খেলা, পাখি ধরা, মাছ ধরা, সাইকেল চালানো এক কথায় এ যেন মুক্ত বিহঙ্গের ডানা মেলে আকাশ পানে উড়ে বেড়ানো।</p><p style="text-align: justify;">মাঝে মাঝে দুষ্টুমি- অন্যের গাছের আম, কাঁঠাল, লিচু, ডাব ইত্যাদি চুরি করে খাওয়া, মাঠে গিয়ে শশা, টমেটো জাতীয় কাচা সবজি চুরি করে খাওয়া, আখ চুরি করে খাওয়া ইত্যাদি। মাঝে মাঝেই নানা উপলক্ষ্যে পিকনিক। সুপারি পাতার গাড়ি, বিয়ারিংয়ের চাকা দিয়ে বানানো বাশের গাড়ি ইত্যাদিতে চড়ে মধুর সময় পার, বর্ষায় কদম ফুল পাড়া, শীতে শিউলি-বকুল কুড়ানো- এগুলো গ্রামীন জীবনের সাধারণ স্মৃতি।</p><p style="text-align: justify;">গ্রামে যাদের শৈশব-কৈশোর পার হয়েছে আর বর্তমানে শহরের বন্দী কয়েদী তারা নিশ্চয় এখন চোখ বন্ধ করে স্মৃতির ভেলায় করে কিছু সময়ের জন্য ফিরে গেছেন শৈশব-কৈশোরে।</p>Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-7174042903156465982021-11-07T06:24:00.006+06:002021-11-07T06:25:13.359+06:00দাসপ্রথার বিরুদ্ধে রসুলাল্লাহর (সা.) সংগ্রাম<p>আল্লাহর রসুল (সা.) মানুষ কেনাবেচার দাসত্ব প্রথাকে নির্মূল করার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। এই সংগ্রাম কেবল যে কাফেরদের বিরুদ্ধে তা নয়, এটা ছিল বিশ্বময় প্রতিষ্ঠিত একটি সিস্টেমের বিরুদ্ধে, যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের মন মগজে শেকড় গেঁড়ে বসে ছিল। আম্মা খাদিজার (রা.) সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর পরই তিনি ক্রীতদাস যায়েদকে (রা.) মুক্ত করলেন। </p><p>যায়েদ মুক্তি পেয়েও তাঁর সাথেই রইলেন। এরপর যখন যায়েদের পরিবার তাঁকে খুঁজে বের করে ফিরিয়ে নিতে চাইল তখনও যায়েদ রসুলাল্লাহর কাছেই থাকবেন বলে জানালেন। এই ঘটনার পর রসুল যায়েদকে নিজের ছেলে বলে ঘোষণা দিলেন, বললেন যায়েদ (রা.) তাঁর সম্পদের উত্তরাধিকার। এটা ছিল কোরায়েশদের মিথ্যা আভিজাত্যের দেয়ালে এক প্রচণ্ড আঘাত। চারিদিকে ছিঃ ছিঃ পড়ে গেল। কী! গোলামকে ছেলে বলে ঘোষণা দিল মোহাম্মদ (সা.)! রসুল বিচলিত হলেন না, নিজ সিদ্ধান্তে অটল রইলেন। </p>
<img alt="দাসপ্রথার বিরুদ্ধে রসুলাল্লাহর (সা.) সংগ্রাম" border="0" data-original-height="686" data-original-width="1024" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjnbwzJYJD-1KjHRGoiipDUC5w7463ECMALwkq_05KVYcRAEUiHR8K3zOLu659P6f2_tRWrknZf0hjd_NRnAccNAgOO2vBUN9-K-c7mvwNgNxe7zxzBFbz2_EUJOJVwx50IAjqa4mhX_BAmP8Tz2euIXjsvmPv4pfMdh9xa-laq6l365oisFWpGqe6M=s16000" title="দাসপ্রথার বিরুদ্ধে রসুলাল্লাহর (সা.) সংগ্রাম" /><br /><br/><p>এ হলো নবী হওয়ার আগের কথা। নবী হওয়ার পরে তিনি নিজ ফুফাতো বোন জয়নাবের (রা.) সঙ্গে যায়েদকে (রা.) বিয়ে দিলেন। তাদের বিয়ে টিকল না, যার অন্যতম কারণ জয়নাব (রা.) রসুলাল্লাহর ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখিয়ে যায়েদকে (রা.) স্বামী হিসাবে গ্রহণ করলেও তিনি যায়েদের পূর্ব পরিচয় ভুলতে পারেন নি। রসুলাল্লাহ খেয়াল করেছেন যে, তাঁর উম্মাহর মধ্যে অনেকেই যায়েদকে (রা.) তখনও ভিন্নভাবেই দেখে। </p><p>এরপর রসুল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি যায়েদকে (রা.) মু’তার যুদ্ধের সেনাপতি নিয়োগ দিলেন। তাঁর অধীনে যুদ্ধে প্রেরণ করলেন পুরো জাতিকে যার মধ্যে কোরায়েশসহ বড় বড় সম্ভ্রান্ত বংশীয় অনেক সাহাবিই ছিলেন। যায়েদকে (রা.) সেনাপতি নিয়োগ দেওয়ার পর অনেকেই সন্তুষ্টচিত্তে বিষয়টি মেনে নিতে পারল না, বিশেষ করে মোনাফেকরা জাতির ভিতরে জোর তৎপরতা চালাল যে, একজন দাসকে সকলের আমীর করা হলো? এটা কেমন কথা? এসব কথা শুনে রসুলাল্লাহ প্রচণ্ড রাগ করলেন এবং সবাইকে মসজিদে নববীতে ডেকে সাবধান করে দিলেন।</p><p>মু’তা যুদ্ধে যায়েদ (রা.) শহীদ হন। রসুলাল্লাহ তাঁর এন্তেকালের স্বল্পকাল আগে সেই যায়েদ (রা.) এর পুত্র ওসামা এবনে যায়দ এবনে হারিসাকে (রা.) সিরিয়া-ফিলিস্তিনের দারুস ও জর্দানের অন্তর্গত বালকা’ সীমান্ত অঞ্চলে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন। এটা ছিল রসুলাল্লাহর জীবদ্দশায় সর্বশেষ অভিযান। প্রবীণ মোহাজেরগণের প্রায় সকলেই ওসামা (রা.) এর বাহিনীতে তালিকাভুক্ত হন। কতিপয় লোক তাঁর নেতৃত্ব সম্পর্কে বিরূপ সমালোচনা করেন। তাদের মন্তব্য ছিল, প্রবীণ আনসার ও মোহাজেরদের উপর এত তরুণ একজনকে অধিনায়ক করা হয়েছে। তাদের মূল আপত্তি ছিল, ওসামা একজন ক্রীতদাসের পুত্র। </p><p>এসব আলোচনা শুনে রসুল মাথায় পট্টি বাঁধা অবস্থায় দু’জনের কাঁধে ভর করে মসজিদে যান এবং সকলকে ডেকে আবারও বলেন, ‘হে সমবেত লোকেরা! তোমরা ওসামার যুদ্ধাভিযান কার্যকর কর। আমার জীবনের শপথ! তোমরা যদি তার নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলে থাক, তবে এর আগে তোমরা তার পিতার নেতৃত্বের ব্যাপারে তো কথা তুলেছিলে। অথচ সে নেতৃত্বের যোগ্যই বটে, যেমন তার পিতাও এর যোগ্য ছিল। সে আমার নিকট অধিকতর পছন্দনীয়; আর তার পরে এই ওসামাও আমার নিকট অধিকতর প্রিয়।’ রসুলের এই কথার পর সব গুঞ্জন থেমে যায়।</p><p>এভাবে আল্লাহর রসুল একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থাকে উপর্যুপরি আঘাতে চুরমার করে দিয়ে গেছেন। এরপরে ওমর (রা.) এর উদাহরণ আছে যা অকল্পনীয়। মদিনা থেকে যেরুজালেম প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার পথ যার অধিকাংশই ছিল মরুভূমি। এই দীর্ঘ পথযাত্রায় ওমরের (রা.) সঙ্গী ছিলেন একজন ব্যক্তি যাকে ইতিহাসে দাস বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এ কেমন দাস ছিলেন যাকে মনিব উটের পিঠে উঠিয়ে উটের রশি ধরে উত্তপ্ত মরুর বালুকারাশির উপর দিয়ে পথ চলেন? আল্লাহর রসুল বলেছিলেন, ‘তোমাদের অধীনস্থরা তোমাদের ভাই’। ইসলাম যে দাসকে ভাইয়ের মর্যাদা প্রদান করেছে তার উত্তম উদাহরণ হলো দ্বিতীয় খলিফার এই ইতিহাস।</p><p>পরবর্তী সময়ে খলিফা নামধারী উমাইয়া, আব্বাসীয়, ফাতেমীয় রাজা বাদশাহ, আমির ওমরাহগণ পুনরায় নিজেদের ভোগবিলাসের স্বার্থে দাসব্যবস্থাকে পুনঃপ্রবর্তন করে। তারা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের আদর্শকে পায়ে ঠেলে আবারও দাসত্বব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে কেবল মানবতারই অবমাননা করেন তা-ই নয়, তারা ইসলামের গায়ে দাসত্বপ্রথার অনুমোদনের কলঙ্ক লেপন করে দেয়, যা আজও ইসলামবিদ্বেষীদের অপপ্রচারের হাতিয়ার।</p>Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-44730650537439188322021-11-07T06:12:00.008+06:002021-11-07T06:12:58.145+06:00আমাদের কী আছে?<p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="#" imageanchor="1" style="clear: right; float: right; margin-bottom: 1em; margin-left: 1em; text-align: justify;"><img alt="আমাদের কী আছে?" border="0" data-original-height="600" data-original-width="800" height="199" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEgWwVY3raGYIDI-bVAJiUmyW3reY3yo7g2uyj5LoOBgSLBIqhWnQ2A1edfOVzADnbS3MGImAX6meoBKor-0ywxYl-7ewkCG_2-7DBJMKiQ-0Hc0dUJzf4MIxMt-1_GJDuj-LXteaSo6h5WdRLqOPJOrjs6MYfWinbuSRFGkIrHJsxb2C5h-PyqpVdVd=w265-h199" title="আমাদের কী আছে?" width="265" /></a></div><div style="text-align: justify;">পৃথিবীর সব জাতিরই গর্ব করার মত কিছু না কিছু আছে। আমাদের কী আছে? আমাদের কোন জিনিসটা আন্তর্জাতিক মানসম্মত? কোন জিনিসটা নিয়া আমরা একটা চাইনিজের পাশে, বা জাপানিজের পাশে, বা আমেরিকানের পাশে, বা ব্রিটিশের পাশে দাঁড়াইতে পারি এবং বলতে পারি- আমাদেরটা সেরা, আমাদেরটা মৌলিক, আমাদেরটা অত্যাধুনিক! </div><p></p><p style="text-align: justify;">দেশ নিয়ে গর্ব করতে কার না ভালো লাগে? দেশের প্রতি, নিজ জাতির প্রতি ভালোবাসা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। কিন্তু ভালোবাসার তো উপাদান লাগবে। কোন জিনিসটাকে আশ্রয় করে দেশকে ভালোবাসব? আমার দেশের কোন জিনিসটা ভালো? শিক্ষা, খেলা, রাজনীতি, অর্থনৈতিক শক্তি, সামরিক শক্তি, নীতি-নৈতিকতা, দেশপ্রেম, সভ্যতা, শিল্প, সাহিত্য, চলচ্চিত্র, জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আদর্শ- কোন জিনিসটা নিয়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দাঁড়ানোর হেডম আছে আমাদের? </p><p style="text-align: justify;">একটা ভালো বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করতে পারি না, একটা ভালো সিনেমা বানাইতে পারি না, একটা ভালো কাব্যগ্রন্থ লিখতে পারি না, একটা সাড়া জাগানো উপন্যাস লিখতে পারি না, একটা শক্তিশালী ফুটবল বা ক্রিকেট টিম গড়ে তুলতে পারি না, একটা নৈতিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারি না! আমরা পারিটা কী? পারি শুধু ভাত খাইতে। আমাদের পেটভরা ভাত, মনভরা হিংসা, মাথাভরা হীনম্মন্যতা, আর শরীরভরা অসুখ-বিসুখ। আমাদের দাদা-দাদীদের জীবন কাটল ব্রিটিশের হাতে মার খেয়ে, বাবা-মায়ের জীবন কাটছে পাকিস্তানিদের হাতে শোষিত হয়ে, আর আমাদের জীবন কাটতেছে নিজেরা নিজেরা মারপিট করে। বড় কোনো আশা, বড় কোনো সাধনা, বড় কোনো লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আমাদের জীবনে নাই। </p><p style="text-align: justify;">কেন আমরা কিছুই করতে পারি না? আমরা কি আসলেই হীনবল, ভীরু, কাপুরুষ, রুচিহীন, ব্রেইনলেস, ক্ষুদ্রমানসিকতার মানুষ?</p>Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-71127855903882397852021-11-02T19:45:00.004+06:002021-11-02T19:46:21.024+06:00ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও রাষ্ট্রের আইন<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<img alt="ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও রাষ্ট্রের আইন" border="0" data-original-height="600" data-original-width="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjDq9KjokwujcqOmQFeNoMgWTNkMJUQAOAD_qk9T7moiH97679dU32KiyqM9UufRF1sKyK_HcC2nY3DUmOS2AB9gKev_hkg69lmTh_gWPMUlfUVsd8endFDvHTbLa2_1KU1Rxc9U01q26bc49uKgzw0vaDLEXnC-XcuoL9PP-8o4i8NF2TsXWjnKVS0=s16000" title="ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও রাষ্ট্রের আইন" />
</div>
<div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আপনার আছে জ্ঞান, আমার আছে অজ্ঞতা। </div>
<p style="text-align: justify;">আপনার আছে যুক্তি, আমার আছে ধর্মান্ধতা। </p>
<p style="text-align: justify;">আপনার আছে বিবেক, আমার আছে ধর্মানুভূতি। </p>
<p style="text-align: justify;">
এখন আপনার যুক্তির কথা যদি আমার মূর্খতাকে আঘাত করে, তাহলে সেটাকে আমি ধর্মীয়
অনুভূতিতে আঘাত বলে দাবি করতে পারব? তখন রাষ্ট্র কি আমার অনুভূতি রক্ষার জন্য
আপনার যুক্তির কথাই বন্ধ করে দিবে? যুক্তির চর্চা করার কারণে আপনাকে জেলের ভাত
খাওয়াবে?
</p>
<p style="text-align: justify;">
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের যে আইন বাংলাদেশে রয়েছে, সেটার মধ্যে নাগরিকের অনুভূতি
রক্ষার প্রচেষ্টা রয়েছে, কিন্তু অনুভূতির কোনো সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। কী করলে
অনুভূতিতে আঘাত লাগবে সেটা নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। বলা হয়েছে ধর্মবিশ্বাসে আঘাত
করা যাবে না, কিন্তু বিশ্বাসের কোনো সীমারেখা নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে ধর্মানুভূতি
শব্দটির মধ্যে অনেক বেশি গ্রে এরিয়া রয়ে গেছে, অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। কারো ধর্মীয়
অনুভূতি শুধু আল্লাহ-রসুলকে গালি দিলে জাগ্রত হয়। কারো আবার ইসলামের নূন্যতম
সমালোচনা শুনলেও অনুভূতি জাগ্রত হয়। আবার কারো অনুভূতি আরও এক কাঠি বেশি
স্পর্ষকাতর! আল্লাহ, রসুল, কিতাব পরের কথা, হুজুরদের অযৌক্তিক কার্যকলাপের
সমালোচনাও সে নিতে পারে না। হুজুরের ভন্ডামীর বিরুদ্ধে কিছু বললেও তার অনুভূতিতে
আঘাত লেগে যায়। যেমন সুনামগঞ্জের শাল্লায় অনেকের মামুনুনুভূতিতে আঘাত
লেগেছিল।
</p>
<p style="text-align: justify;">
বিশ্বাসের কথাই যদি বলেন- তাহলে সেই বিশ্বাসেরও কোনো আগামাথা নাই। ইসলামের নামে
হাজার হাজার ভাগ রয়েছে, ফেরকা-মাজহাব-তরিকা রয়েছে। রয়েছে সুফিবাদীদের মধ্যেও
হাজারো ধরন। এদের মধ্যে কারো কারো বিশ্বাস একে অপরের সম্পূর্ণ বিপরীত। এই তো
কিছুদিন আগেও আমরা দেখতে পেলাম কওমীপন্থীরা আহলে হাদিসের মাদ্রাসা ও মসজিদ ভেঙে
গুড়িয়ে দিল। এদের মধ্যে রাষ্ট্র কার বিশ্বাসকে সংরক্ষণ করবে? একজনের বিশ্বাস
আরেকজনের বিশ্বাসকে স্বভাবতই আঘাত করে। রাষ্ট্র এর মধ্যে ঢুকলে কোনো কুল-কিনারা
পাবে?
</p>
<p></p>
<blockquote style="text-align: justify;">
রাষ্ট্র যেটা করতে পারত তাহলো- কেউ কারো উপাস্য, দেব-দেবী, বা নবী-রসুল-অবতারকে
গালি দিতে পারবে না, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অসম্মান করতে পারবে না, এটুকু নিশ্চিত
করা। কোর’আনেও আল্লাহ তেমনটাই করেছেন। খুব বেশি ডিটেইলসে যাননি। শুধু বলেছেন-
তোমরা অন্য সম্প্রদায়ের উপাস্যদেরকে গালি দিবে না, দিলে তারাও কিন্তু আল্লাহকে
গালি দিতে পারে! কত সরল ও সোজা নির্দেশ! অথচ সব সমস্যার নিষ্পত্তি হয়ে যায়
এটুকুতেই।
</blockquote>
<p></p>
<p style="text-align: justify;">
আমাদের রাষ্ট্রও এমন সার্বজনীন মানদণ্ড নির্ধারণ করে আইন তৈরি করলে সেই আইনের
অপপ্রয়োগ বন্ধ করা যেত। রাষ্ট্র বলতে পারত- যার যার ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতা
আছে, ধর্মপালনের স্বাধীনতা আছে। সবাই যার যার ধর্ম পালন করবে, কেউ কারো ধর্মপালনে
বাধা দিতে পারবে না, কেউ কারো উপাস্য ও নবী-রসুল-অবতারকে গালি দিতে পারবে না।
ব্যাস- আর কিছু তো লাগে না।
</p>
<p style="text-align: justify;">
পক্ষান্তরে এখন যে আইনটা আছে, সেটা অপরাধকে পূর্ণভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারে না,
বরং অপরাধ চিহ্নিত করার বিষয়টি নাগরিকদের উপরেই ছেড়ে দিয়েছে। আর সেটার সুযোগ
নিচ্ছে বিভিন্ন মহল। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার অন্য কোনো উপায় না পেয়ে ধর্মানুভূতির
আশ্রয় নিচ্ছে তারা। আল্লাহকে নিয়ে গান গাইলেও তাদের অনুভূতিতে আঘাত লেগে যাচ্ছে।
আর এসব দেখিয়ে ধর্মবিদ্বেষীরা বলার সুযাগ পাচ্ছে যে, ইসলাম মানুষের মত প্রকাশের
স্বাধীনতা হরণ করতে চায়।
</p>
<div style="text-align: justify;"><br /></div>
Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-84631977855223247012021-11-01T11:34:00.011+06:002021-11-01T11:35:25.150+06:00বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় আয়না<p>
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ভালো গুণের অভাব নাই। টিকটক, নাচ-গান, মডেলিং,
ধর্ম-কর্ম, সবকিছুতেই তারা হলো বিশ্বের সেরা। ক্রিকেটটাই যা একটু খারাপ খেলে।
ওইটুকু আমরা কম্প্রোমাইজ করে নিলেই হয়। আমাদের বোঝা উচিত- একজন মানুষের সব গুণ
থাকে না, তেমনি একটা ক্রিকেট টিমেরও সব গুণ থাকা সম্ভব না। বহুগুণের গুণধর হবার
পরও তাদেরকে ভালো ক্রিকেটও খেলতে হবে এমন চাপ দেওয়ার কোনো মানে হয় না। আপনাদের
যাদের কোনোই গুণ নাই, আপনারা কী করছেন? নিজেদের মুখটা একটু আয়নায় দেখুন।
</p>
<img
alt="বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় আয়না"
border="0"
data-original-height="729"
data-original-width="1296"
src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEiXIUtMUDEun-sgDYYz3ywaUl9TFwM5D-JEudanZ_ZYiVu7DKSgZ-kGaz81IaKaFaJdIjWfhbmeagcY9XgAL-8VmVvlRt58nJoi6AqpsWo2CKd2lBrViexNRF0kLzdIzj7ovmizs3hWrRXweC8GXEx5MaNxVqJYAulMwI37fXaBEAxYhdGXYc261Jt2=s16000"
title="বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় আয়না"
/><br /><br/>
<p>
প্রত্যেক মানুষের জন্ম হয় বড় কিছু করার জন্য। তাই ছোট কিছুতে নিজেকে আটকে ফেলতে
নেই। আমাদের ক্রিকেটারদেরকে কয়েক বর্গমিটারের মাঠে আটকে ফেলতে চাইছে অনেকে, অথচ
তাদের জন্ম হয়েছে আরও বড় কিছু করার জন্য। ভালো ক্রিকেট খেলা দলের কোনো অভাব আছে?
বিশ্বের অনেক দলই ভালো ক্রিকেট খেলতেছে। দুই বছর আগে জন্ম নেওয়া দলটাও যেভাবে
চার-ছক্কা পিটাচ্ছে, তাতে এই খেলাধুলার মান নিয়েই এখন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সে
দৃষ্টিতে দেখলে ক্রিকেট এখন সস্তা খেলায় পরিণত হয়েছে। কাজেই সস্তা জনপ্রিয়তার
জন্য আমাদের ক্রিকেটাররাও যদি সবকিছু ভুলে গিয়ে “ভালো খেলা”র দিকে ঝুঁকে পড়ে
তাহলে দেশের মান রইল কোথায়? আমরাও তো অন্যদের মতই হয়ে গেলাম তাহলে!
</p>
<p>
তারচেয়ে টাইগারদের উচিত ক্রিকেটের দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে টিকটকের দিকে মনোযোগ
বাড়িয়ে দেওয়া। টিকটকে আছে প্রবল সম্ভাবনা। আছে নতুন কিছু নির্মাণের হাতছানি। এটাই
তো দরকার। বিশ্বকে নতুন কিছু দিতে হবে। পানির নিচে টিকটক ভিডিওর আইডিয়াটা কিন্তু
মন্দ ছিল না। এভাবেই নতুন কিছু করে দেখাতে হবে বাংলার টাইগারদের। মনে রাখতে হবে-
মানবজাতি তাদের কাছে ক্রিকেট চাচ্ছে না, ক্রিকেটীয় বৃত্তের বাইরে ভিন্নস্বাদের
কিছু চাচ্ছে। যেমন পানির নিচে একটা মিউজিক ভিডিও হতে পারে। গানটা হতে পারে এমন-
আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন. . .।
</p>
Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-88018599156597338852021-10-29T02:17:00.012+06:002022-09-14T13:27:43.299+06:00নীলফামারীতে হয়ে গেলো হেযবুত তওহীদ রংপুর বিভাগীয় কর্মী সম্মেলন-২০২১<img
alt="নীলফামারীতে হয়ে গেলো হেযবুত তওহীদ রংপুর বিভাগীয় কর্মী সম্মেলন-২০২১"
border="0"
data-original-height="910"
data-original-width="2000"
src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjSwTCJBP9CLoMDRvWvsypxftVSw9KMxA2euegmYGgmgRkVz88XXopQzmNfpbAchYB59LtgMXuth6aE3mBSYFYyeVqX2_fcvDLwlG1rrJUO6XqDdCwqfwaXkY_UNuGGs8rchRdJ70uFHfyBI8PG8PQXHx8zPjjGvfv3A6jVkvabVpKJqcsk2Ury8-fU=s16000"
title="নীলফামারীতে হয়ে গেলো হেযবুত তওহীদ রংপুর বিভাগীয় কর্মী সম্মেলন-২০২১"
/>
<br />
<br />
<p>
<b>২৮ শে অক্টোবর ২০২১</b>, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় হেযবুত তওহীদ রংপুর বিভাগের
উদ্যোগে নীলফামারী জি. আর. পি. পুলিশ ক্লাবে অনুষ্ঠিত হলো হেযবুত তওহীদের কর্মী
সম্মেলন - ২০২১।
</p>
<p>
এই কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের মাননীয়
এমাম, জনাব <b>হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম</b>।
</p>
<br/>
<div class="slider">
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEhFGlweGlxz6t8RK7Ia5lQpWMRKdkHOS7v_YqxMUNJ6nquXTwe_WqZ_xIGkksGtT77EJ_ujku1u6m5BBx5-QKFVW4cHygzgFqPjqhF9F9A61qlxZsWJnydLZPW8zOKEvLaeklAW2o0MBMbzLzsavmv1wcQlGQYSkYzn1t1xSZQwBxeV1I-LbLtxDoTE" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1150" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjw5Z_l24lHlCp7z52_IYKW4mFG6y5vNzUuPEEDDx3Uq9jqvbhdRrr6B4IK58hcgUHt6shgrXVn2rrp796ucIDHe_ImlR1jV5Uy6vQ1DpwyR0jhCT0N4xmsb7xHKkDxj6WKnOdS5tl7H3RZ0meo713FBzqjoX6tLcTh770KzM1_qAeCp8uvBAFHGk4u" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1138" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEhLUa9uCT5e7LfQks1y7xzomteC1RcomOaOi2uhEi63NnXlj-ZY-FVPb09gre5sFEQBIadvdItiUqB3ezLvP4XwcwdbYkvagfKzi5Ct0DyNCrAuiJuy5gezUoUjaSyyFJ_L-v6G6Uz7hnJ_vTptFSEmnHXmTlVYcZpe-YJWD-F6k1ZPrEjaBg-TVawB" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjlPxSFwsIKq34-omSb1RxjSGXriMDoPkjf-QtU-ZsLyJZD-wffuO3wYvuzRnR_ZzMn3IoqXNPT2YoKzOPpPm0TUSKEanBtsnHm6Ypa6I61BaEFAiuWVXMPXSk0VGj6sabZ43361-D2BmLDnnjnZgsvVvFB7_Pf5wE7poJce9KmZWpdHi9pjW0pF01J" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1156" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEh_BYMPa3x3OBZUjEa6VFLfoUUloxv2XMS3-gWU73HrP1wqQkxIEWyGVT6xnA_8GLOf1D3kr7uvc5rSgLYqQDrFKGc5b8J3XHKwf_4vjpZaT6rPYhyH7wZZPyAH88UCgONDE75pTflJhghW1KIq_7ci9OQmNnHpXhi8uTRX0bsq01heOBDYb84deE4l" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEhgEebhwUNYqzMTnMMMQlXagu7P4-XwGsgjL-zRPB-eWjPh-6z8jBfwha26lF6M1vroJn_YUjgxtDIeM1kXYfQBnj90zc7WREabBBFBk8inWf2OkjvnOJW6NPNZBPbXCOSuI-07wxTCj3KM9roCwQWJNuxFYmpnnBp6Wre-KQUBWXCGvU59vUF-xOC8" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjjVizIBbpYhKl9upQ37sPMAmp7p2dKMZgH4rFdQf6ycPa-fvcz2QlSROU1N_UTzBbXBHOgbEcCjq_xTw3Y9UOXy3eTmsvLrM3DEAlmximfQ2iCFqlXdmGiwfF_J4gsiV1sJHSVT8K8Q5g18wH8D-uJIXEZFOu9cWqVlB8xFWK7nRj8twAJqu-Dv-mC" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEg5rZdPftZxWKQ2_FNwTpaG3ySOi8bvbWlpQloTJi3YONyUy2PvYYH6CHpVxyKdQ5fGatCVArwRSn3Bk-gBQ0GPCs2KEUxF5xiHX0ZNd898q-xvsW95co2pH0hExICI102Z4e1ExKsjb5_W7aFF8KtQQEphMYJM2u9_5nrFRyWhC8fH4yoaPsqHBGNx" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1200" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEiVPeO7Va37l9raW3tBpbqqgQdZ8ZZwbBGZcnJ4op3q-NUpxdqcDaJCcp1KGfi3JNjWquzTmpfFlMSxWkNlHeMg7vVKLUQg2g2Kvkk_ImaB_VUTodu2DmW-LnwnwaLrO5i9JfemYsJR-T2gNoNgI4RU79eWsBQH_5Bwym1z5AKNmr_nrG79k5bX5hf_" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEic5iMrhuYOIY07GSZHSu6HEo0GPepMM6P8WOuNUdjI4q4b3g-0_6a8KZj2MOHmrbEOCh6QEY-Q6M_ehR8tjRYPsGWBX3eMSQ6HE1FyuQDMfVjhIyabsyRdMZjqh1zx9byoInTKoDTfEtIaXSGlAJpEPpo6kV-CW8ChztwbZ7PQqeHtkUb9fC4SY5wL" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEiUn4R1os3pMS0QjZvfkhXqhoWwcewEYdxEje_VHtMLrvBMjGjrspZa1B8vARetRcK5zBFvXNofTSZK9HF9aR8T1MFhnl5a8I7OF46dwf_88Mq87OyUVciY4-gr-YQwPlIkSorj22jM-Scg1LWO50-K-Xy9NgE8COTvYwcj0CNfZEROJYPQoCkc1Fd1" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEhDF9K7LtVnKu_Uc6Bh4N_2mSUW0VxwfElGpcp4e3MDlZ88WL3I47NvUIido0ZkmTMExub-wmTqV3eD1QYtslXh_OGR_mdghd28TBPPvuekahTvrOhWQwHLA39gVyd_npDaafYoHl9qXwe9DUzsaT8dlpl5-hJh-d2SbBOu6UYRS5AAfbkqtTFnsluG" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEiUPHchCy_oLzoOIdJbcpcxUWDWJVjH3q6JRDQJkQNS6D5RSrXY9X1n3ID_jqYTbso4DPHjo5c_oPWje2icIRlDUm8h6JjOBKCX8mOefI90HCu8KFSyrRosEKlMApZpw4pcCK_Y7XlXnnOALMBWJzP5X_8uvWr9WHOzJc05RymgF3dzG04O9pEnRu69" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEhVUTmAwJPFNdTlqlMmdDRts-F2U5HpQAqj0L1eCvaiQikTjUycueJUYoKe9GhDp9fGVlIBD2-Wf7D7ZwjtCVHlS3Z67iSmcZKK2R_lFPflPpZGRk9SVB5K944RSXYkUHNH82EcUsXCqyFYUBOyF4Vbp9UY-sMm1pmrH9cPLtQL1KQdGoXy2yUNOHkR" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEixWiHpuyKR91yLHCBdbnw1rJUIerHH2ssMnxDXv8L_tUDP9V3a-1P_-L5Nv2hvYYJv6trHxrn5_ODyNomw5SO7oK8cN4fRZVLI0GPINsIuekxEED7QdxClwtomdTAbvMGuXTGkBTLyUGBGbzqAhS-K0xdyx75B6ySJjbK7QGrmeVmL4darGIn8mwOQ" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEhRJFHpno2jeBQD0yT9ePJ8zoGzRZULJGDG7_MjZCgOavZ8qaquqcjsG7IWMJx89sNMRwJgCJXcNrIU-1aNnh7SOSjOduLXf6TfEbZ4kb6wWazAZKLd_pQHbiVHJ7Dvpp65eLQIcuY4o9LShyNGxwHU6_n7kJS9cG9_a0iwPVq6TbWCrdhgOCBiyIOU" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjnApsv8fJXgMT_uLv74CA-KpbGWNw75VirnNDhDZlf4wHoulA5lNtAUQC6QL-GQMUoXjWMtvysYuwoOqv6fbMb7zplmxAmq1ACTwinDB7myLesJklZBXVdoLUb6-cjxIWkRZOX5kFP5CMkMTNV7f-4eOmsEWDFD7gwftQhtIDTAV5uoO4PseI0D-BB" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEhnz1zrhqeyFvt9dCYu1y-HEBqmsDYh0etZBYqMu8Z8tmF-1KtYtDNq2FpQRfPtdevxXUkWqTAGmPC_lNt2wcbvjdVF1rq5I-mxsvv140C83EPKuFZB2E5HUX-wVNGEsPGd9Du34rKtVrH4DPjO1-ioLQH3aiZ0alZrjzET3rLjm63VGhdDZbsE7w7J" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjvQ56MhZbBf0UhtkpRR9gOAM-np7l6WI0UuV7kV595mPh43gPee48wEek6GTTz0Rmlq-JAyvYCaXbvxP_Ep8xWbjEQWWOMUhgiYYq-wiVhHu--PEQ0AI1pEzPd72lkA6W4E6j6-R4kKNLKN3QcBOEqUM2fPhu1sBZnjmDW8OeLJ2VkqXCr6CBEnsaQ" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjDSDmQdcYiXBr5Ie_toz7xW9rJhSrekF0XzcrXNZGnNrq-UqcGhQ_Pavn1xRT_g4F6LihUdFQTyeoSLzIEU34cbXX9VxKJQdqEh2cADrbC4Cuihmjry-WifM1bOVJY6R_kA3AFq5H3NMIPVsd53R9oxmVlm5P6bzBbQ60E_V4JKg2PVb1_I0A5DvEJ" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEh_KrABchYDJo-lwnKNvgGZTL0nFaGBFHJ2AMYX20amNsad0daBwndH8ahnilBsGMdjc3MZjZRqkSQs_O-upUVIV_ezOSerGmC6NTNMMVpiC-75itaCsHgVSvW5yHoNguPncqKWeccdqLp-u0yC7o1XEZQNGFzUU4FO6OhLEHBdt3w4mx8xTDy4ac02" /><img alt="" border="0" data-original-height="1333" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEictClcYjdY6rBiTX9oIFNr4WUIVGHQ0-ykpra5mXRG8MdLsCkP6QEy-17RbodvqOliXIpygkGAQLMWUsQDAfopv7jwEOemTM9hWoFcbG5KZVbqVJdjuaYckXrfnR4ab70ubKsdLFbbNbwZJJziS4D8GslWq2LVmLWjZJtyBTTtiff3FACpiz-QsSVl" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1367" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjYY11rD0XJkPaqEgqv71ca8L1wjLyFSie-lNx3NB0xO8oh34yiHIzRzmO7zJ1604aRcoMDIbPpfhBxs05HNpMEcQkcQyxYP-6XxikptD9sZyk2XTyOyzRhBmUNv1o47Ivcr_ylnnuKKDb7B4mkJjNOsDkGhJcgTDpNPb4t2HHdP7eOMCZYu_sYTilH" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1264" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEg5NTS6gh0ulkrHf8rQduKJz_BocJeCKsdlWhwDO-8jnM2gYFc8HeXQW0fpuEyG859ffK3l5jTTymUoNtRN7BI7bMT92mo_esFhpiMMft0KuMDp_2Un1oJXMtv--QGn7LE7KV9KPfyjsRLqVOGezoDNvgsgVF513vo_jMHB-92RCDHI_SsdUeuJ2zq0" />
<img alt="" border="0" data-original-height="1031" data-original-width="2000" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEg2o8EefX2eKviL85MyYPOem7l5BitMtTXaNfzExT5aMTrIaO0wHEsx2UrhRlfcsH_HmmKAOV39ToY24EDRERMlq-5r8erlxLiO-gDqS4t_JDQ6UezSjLrZVJdua84vd3Kb8ICfxS5rfC7Q-infa7SXwnwAvdJaWPZAe1rQzWznATpU3S2J7cZOEZT6" />
</div>
<br>
<p class="tr-caption">কর্মী সম্মেলনের কিছু ছবি</p>
<p>
রংপুর বিভাগের সকল কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি হুজুগ, গুজব, ধর্মান্ধতা,
ধর্মব্যবসা, অপরাজনীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদসহ সকল প্রকার অন্যায় ও অসত্যের
বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াইয়ের অঙ্গীকার ব্যক্ত ও উৎসাহ প্রদান করেন।
</p>
<p>
এ সম্মেলনের মঞ্চে আসন অলঙ্কৃত করেন হেযবুত তওহীদ রংপুর বিভাগীয় সভাপতি জনাব মসীহ
উর রহমান, রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়কারী মো. আব্দুর রাকিব, রংপুর বিভাগের সকল জেলার
সভাপতিগণ।
</p>
<p>
এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের হেযবুত তওহীদের
সদস্য-সদস্যা, শুভাকাঙ্ক্ষী ও কর্মী-সমর্থকগণ উপস্থিত ছিলেন।
</p>
<script>
$(document).ready(function() {
$(".slider").slick({
lazyLoad: 'ondemand',
dots: false,
slidesToShow: 1,
slidesToScroll: 1,
autoplay: true,
autoplaySpeed: 2000,
adaptiveHeight: true,
fade: true,
cssEase: 'linear'
})
});
</script>
<style>
.slick-next {
right: -20px!important;
}
.slick-prev {
left: -30px!important;
}
</style>Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-5920472135156285092021-10-27T20:11:00.002+06:002021-10-27T20:11:31.669+06:00বাংলাদেশের ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে যা লাগবে<p style="text-align: center;"><b><span style="font-size: large;">১</span></b></p><p>একই মাঠে, একই পরিবেশে, একই পিচে অন্য দল ব্যাট করে সাবলিলভাবে, আমাদের প্লেয়াররা ব্যাট করতে গিয়ে তিড়িংবিড়িং লাফায়। বল একবার ব্যাটের ডান কোনায় লাগে, একবার বাম কোনায় লাগে, একবার পায়ে লাগে, একবার পিঠে লাগে, একবার হাতে লাগে। ওরা কী সুন্দর আকাশে তুলে মারে, বল চোখের পলকে গ্যালারির বাইরে চলে যায়। আমাদের প্লেয়াররা দুইবার তুলে মারলে একবার বলে ব্যাটই টাচ করে না। আরেকবার বল লাগে ঠিকই কিন্তু যেদিকে চালায় সেদিকে যায় না। সোজা উপরে উঠতে থাকে। যদি ঠিকঠাক লাগেও- কোনো এক অজানা কারণে বল মাঠ পার হইতে চায় না। মনে হয় বলের ওজন চৌদ্দ কেজি। আকাশে যে ওঠানো গেছে সেটাই অনেক বেশি, মাঠের বাইরে পাঠানো সম্ভব না। </p><p>আরে ভাই, তোরা কি ভাত খাইস না? নাকি ভাত খাওয়াতেই প্রবলেম? যেইটা খাইলে গায়ে শক্তি আসবে, একটু তরতাজা হবি সেটাই খা। রিক্সাওয়ালা দশটা টাকার জন্য হালের বলদের মত খাটে, তোরা শুধু ব্যাট-বল খেলেই লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক! কৃতজ্ঞতা বোধ বলে তো কিছু থাকা উচিত। টাকাগুলা করস কী? খাইতে পারোস না? শরীরে বল পাস না ক্যান? আফগানরা তোদের পরে এসে লম্বা লম্বা ছক্কা মারতেছে অবলীলায়, তোরা সেই উনিশশ কটকটি সাল থেকে খেলোস, এখনও ব্যাটে বলই লাগাইতে পারোস না। তোদের ব্যাটিং দেখে আমরাই লজ্জায় মরে যাই, তোদের লজ্জা হয় না ক্যান?</p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjWbUrkvGEven_zAohPNK9q0pEP_VLY718nHdV5MsXnk1BDgOL9QAZc2Dswt85ShVQ8Iodk_KeeorzOzKCC6orv_3FFX7a7Opxo7eB3frWRMAOPTVOJ0xvUyAAMJh9R-70swjbQIFNZ-76Tpl9wwwskc1Zdtf1AhjWzCHJyKiOC4dM8Ow1oP1FBlhi6=s800" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="বাংলাদেশের ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে যা লাগবে" border="0" data-original-height="600" data-original-width="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjWbUrkvGEven_zAohPNK9q0pEP_VLY718nHdV5MsXnk1BDgOL9QAZc2Dswt85ShVQ8Iodk_KeeorzOzKCC6orv_3FFX7a7Opxo7eB3frWRMAOPTVOJ0xvUyAAMJh9R-70swjbQIFNZ-76Tpl9wwwskc1Zdtf1AhjWzCHJyKiOC4dM8Ow1oP1FBlhi6=s16000" title="বাংলাদেশের ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে যা লাগবে" /></a></div><p><br /></p><p style="text-align: center;"><span style="font-size: large;"><b>২</b></span></p><p>অনেক চিন্তা করে দেখলাম, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে শক্তিশালী করার জন্য বেশি কিছু লাগবে না। নিচের এই কাজগুলো করলেই চলবে- </p><p>ক. লিকলিকে সাইজের অপুষ্টির শিকার আধমরা কাউরে দলে না নেওয়া।</p><p>খ. অযৌক্তিক শট খেলে, সহজ ক্যাচ মিস করে, লিমিটলেস বাজে বল করে যখন সাহেবজাদারা ড্রেসিংরুমে ফিরবেন, তখন ভদ্রতা বজায় রেখে তাদেরকে দিয়ে কানধরে ওঠাবসা করানো এবং সেটার ভিডিও ধারণ করে টিভিতে সম্প্রচার করা। </p><p>গ. দামে কম মানে ভালো হইলেও বিদেশি কোচ নিযোগ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। দেশের সাবেক প্লেয়ারদেরকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যায়। আর অবশ্যই কোচরাও শাস্তির আওতায় থাকবে। দলের ব্যাটিং এর প্রবলেম হলে ব্যাটিং কোচ, বোলিং এর প্রবলেম হলে বোলিং কোচ এবং ফিল্ডিং এর প্রবলেম হলে ফিল্ডিং কোচ টেলিভিশনে সরাসরি সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের ব্যর্থতার কৈফিয়ত দিবে। যদি সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারে তাইলে বিগত ছয় মাসের বেতন ফেরত দিবে। জরিমানা হিসেবে।</p><p>ঘ. প্লেয়াররা কথা বলবে স্মার্টলি। তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, তাদের কথাবার্তা, তাদের চলন-বলন, তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম- সবকিছুতে পেশাদারিত্ব থাকবে। ওরা নাকি দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে, এই রিপ্রেজেন্টের ভাব ছুটাইয়া দিতে হবে। রিপ্রেজেন্ট করলে ভালোভাবে করতে হবে। সমালোচনার জবাবে তারা কিছুই বলতে পারবে না, সমালোচনার জবাব দিবে মাঠে ভালো খেলার মাধ্যমে। জনগণের খাবে, জনগণের পরবে, জনগণকে লজ্জিত করবে, আবার জনগণকে আয়না দেখতে বলবে- এত ভাব আসে কোত্থেকে? যদি সংবাদ সম্মেলনে বা ফেসবুকে কেউ ট্যারা কথা বলে তাইলে সঙ্গে সঙ্গে তারে পেশাদারিত্ব ভঙ্গের জন্য তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ করতে হবে। </p><p>ঙ. বছরের সরকারি ছুটির দিনগুলো ছাড়া বাকি সব দিন প্লেয়ারদের অনুশীলন চলবে। সকাল নয়টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত চলবে অনুশীলন, শরীরচর্চা ইত্যাদি। </p><p>চ. টিমের প্লেয়ারদের সাথে ম্যানেজমেন্টের কোনো দূরত্ব থাকতে পারবে না। হয় প্লেয়ার বাদ যাবে, নয়তো ম্যানেজমেন্ট চেঞ্জ হবে।</p><p><i>[বি.দ্র: কোনো প্লেয়ার একই ভুল দুইবার করলে কান ধরে উঠাবসার পরিমাণ চারগুণ বাড়িয়ে দিতে হবে।]</i></p><p style="text-align: center;"><span style="font-size: large;"><b>৩</b></span></p><p>এই কথাগুলো অনেকে ফান হিসেবে নিতে পারেন। আমি কিন্তু ফান করছি না। কথাগুলো অন্য কোনো দেশের প্লেয়ারদের ব্যাপারে বলা হলে সেটা ফান হইত। কিন্তু বাঙালি প্লেয়ারদের ক্ষেত্রে ফান না। আমরা বাঙালিরা এরকম নিয়ম-কানুনই ডিজার্ভ করি। আমরা ভালো আচরণের যোগ্য না। আমরা হইলাম চরম মাত্রার অলস, চরম মাত্রার অকর্মণ্য এবং চরম মাত্রার ইমোশনাল। আমাদের দিয়ে বড় কোনো অর্জন করাইতে হইলে পিঠের উপর চাবুক চালাইতে হবে। এই চাবুক আমাদেরকে ভাবের রাজ্য থেকে বের করে বাস্তবের রাজ্যে নিয়ে আসবে। তারপর আমরা বুঝতে পারব দুনিয়াটা ইমোশন দিয়ে চলে না। কাজ দিয়ে চলে। যুক্তি দিয়ে চলে। আমরা চাবুক ছাড়া ভালো হই না। বাঙালির যা কিছু অর্জন খোঁজ নিয়ে দেখেন কারো না কারো চাবুকের ঘা খেয়েই সম্ভব হইছে। এটাই সাইন্স।</p><p><i>বি.দ্র. লেখাটি টি-২০ বিশ্বকাপ-২০২১ </i><i>বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড </i><i>ম্যাচে ৮ উইকেটে বাংলাদেশের পরাজয়ের দিন লেখা। </i></p>Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-50061064247780943302021-10-27T18:46:00.007+06:002021-10-27T18:46:53.315+06:00প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ যারা<img alt="প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ যারা" border="0" data-original-height="600" data-original-width="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEguaLvLk2OeX8NFi9NfMXHSDF1WyjntkAQTAWXqHmgDufj9e6YeuKfw-t8cUSeifnS5Sy2g60ej9EQ90oHqmOvAGINaMcPZdamBmg8dlR1fuEnhr9-p21N4hnUB8RfE11hwjEModWruadWXB5CEKFGtwQdA0fIH3At8spzfv4hg6Vet2mm3iH6gK9Tv=s16000" title="প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ যারা" /><br /><p><br /></p><p>সব ধর্ম ও সব সম্প্রদায়ের সমান অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করা যদি ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা হয়, তাহলে বলতেই হয়, বিশ্বে এখন কোনো রাষ্ট্রই ধর্মনিরপেক্ষ নয়। কেননা প্রত্যেকটা রাষ্ট্রেই শাসক মহল নির্দিষ্ট কোনো ধর্মমত বা সম্প্রদায়কে আনুকুল্য দিচ্ছে আর নির্দিষ্ট কোনো সম্প্রদায় বঞ্ছনার শিকার হচ্ছে এবং আমার মতে এটা হওয়াই স্বাভাবিক। কেন স্বাভাবিক? ব্যাখ্যা দিচ্ছি। </p><p>আপনি বিশ্বাস করেন আর না করেন, সত্য হলো- সাধারণ একজন মানুষের পক্ষে সব ধর্মের ও সব সম্প্রদায়ের মানুষকে সমান নজরে দেখা অসম্ভব বিষয়। এর চেয়ে কঠিন কাজ খুব কমই আছে। শুধু আবদার করলেই তো হবে না, মানুষের মনস্তাত্ত্বিক ও মানবিক সীমাবদ্ধতাকেও আমলে নিতে হবে। আসলে এই কঠিন কাজটা করতে পারেন- প্রথমত আল্লাহ, যিনি সব মানুষের স্রষ্টা; দ্বিতীয়ত- আল্লাহর সেই মো’মেন বান্দারা, যারা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করে। এই দুই জায়গা থেকে সব ধর্মের মানুষ সমান মর্যাদা লাভ করতে পারে। তৃতীয় আর কোনো জায়গা থেকে সম্ভব নয়। </p><p>প্রশ্ন উঠতে পারে, কোনো সাধারণ মানুষ যদি পুরোপুরি ধর্মনিরপেক্ষ হতে না পারে তাহলে মো’মেনরা কেমনে পারবে? মো’মেনরাও তো একটি নির্দিষ্ট ধর্মমতের অনুসরণ করে। তাহলে আরেকটি ধর্মমতের মানুষকে সমান চোখে দেখা কি সম্ভব? উত্তর হলো- হ্যাঁ, সম্ভব। </p><p>সম্ভব, তার কারণ মো’মেনদের ধর্মমতটাই তেমন। অর্থাৎ সব মানুষকে সমান চোখে দেখতে হবে, সব সম্প্রদায়কে সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে- এটাই মো’মেনদের ধর্ম। তারা যদি পক্ষপাতিত্ব করে, তাহলে আল্লাহর সঙ্গে তাদের অঙ্গীকার ভেঙে যাবে, মো’মেন দাবি করা মিথ্যা হয়ে যাবে। কাজেই তারা যত ধার্মিক, তত বেশি অসাম্প্রদায়িক। যত বড় ঈমানদার, তত বেশি পক্ষপাতহীন। যদি একজন মানুষও নির্দিষ্ট কোনো ধর্মমত পালন করতে চায়, মো’মেনদের কাছে তার অধিকার পুরোপুরি রক্ষিত হবে। হতে বাধ্য। নইলে তারা মো’মেনই নয়।</p><p>অন্যদিকে এখন যারা ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আউড়াচ্ছে, মানে অভিনয় করছে, তাদের অবস্থা আমাদের কমবেশি জানা আছে। তাদের কাছে বিভিন্ন ধর্ম ও বিভিন্ন সম্প্রদায় হলো অর্থনৈতিক দৃষ্টকোণ থেকে ব্যবসার পুঁজি, আর রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভোটব্যাংক। কথিত ধর্মনিরপেক্ষরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে দুই দিকে খেলে। একপক্ষ মারার খেলা খেলে, আরেকপক্ষ বাঁচানোর খেলা খেলে। কিন্তু মারতে বা বাঁচাতে চাইলে তো আগে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াতে হবে। তারপর লাগাতে হবে মারামারি। তাই মারামারি লাগানোর বেলায় উভয়পক্ষকেই উৎসুক দেখা যায়। তারপর যখন মারামারি শুরু হয়, তখন একপক্ষ সংখ্যালঘুদের সাইজ করার মাধ্যমে সংখ্যাগুরুর মন জয় করে, আরেকপক্ষ সংখ্যালঘুদের বাঁচানোর অভিনয় করে “প্রগতিবাদী” বনে যায়। আমি কোনো নির্দিষ্ট দেশের কথা বলছি না, সারাবিশ্বের যে কোনোদেশে ঘটনাগুলো এভাবেই ঘটছে।</p>Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-16813442671601600862021-10-23T21:19:00.006+06:002022-09-15T19:31:12.316+06:00কোরান অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস [পডকাস্ট]<p>কোরান অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বিষয়ক পডকাস্ট। কথা বলছেন হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম জনাব <a href="/2021/06/hossain-mohammad-salim.html" target="_blank">হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম</a>। </p>
<div class="podcast">
<audio>
<source src="https://www.dropbox.com/s/tadj3oqscrsmqd2/quran-obomanona.mp3?raw=1" type="audio/mpeg"></source>
</audio>
</div>
<br /><br />
<img alt="কোরান অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস" border="0" data-original-height="420" data-original-width="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEi5bHWR_mQX329S7SEVmFaJllWKWZwQjCMifJwIepWH969385iZkyaWZfQ99vnoLFLxesQx9om3Fp6FENaPUqodTdPL6odHMDNxmXpJSh1iSgBewkEhn7dcwEiZHCv_Y4Uq0Cdq2azrzPifPU5Qwo6YIOVy7DFIpATKA4qKm9ZXHn4BiiTwGaoWKGov"/><br/><br/>Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-21395096260172546992021-10-23T07:17:00.008+06:002021-10-23T07:25:36.579+06:00রাসূল সা. এর আগমনের উদ্দেশ্য ও বর্তমান মুসলিম জাতি<p>
আল্লাহর শেষ রসুল (সা.) পৃথিবীতে কী পরিবর্তন ঘটাতে এসেছিলেন? তিনি কি এমন একটি
জাতি সৃষ্টি করতে এসেছিলেন যাদের সবাই আরবের পোশাক পরিধান করবে, দাড়ি রাখবে? যার
সদস্যরা সবাই হবে আরবি ভাষার পণ্ডিত?
</p>
<p>
নাকি তিনি এসেছিলেন সমাজ থেকে সকল জাহেলিয়াত, সকল অন্যায়, অবিচার, অশান্তি,
জুলুম, রক্তপাত, অশ্রু দূর করে একটি শান্তি, ন্যায়, সুবিচারপূর্ণ সমাজ
বিনির্মাণের জন্য?
</p>
<img alt="বাগদাদের বৃত্তাকার শহর ছিল বাগদাদের মূল প্রাণকেন্দ্র" border="0" data-original-height="613" data-original-width="1020" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEg4NWq9-k1XCfay8HVQ32RMhRtPeXHe6ykX9lAyxa7S-7wAne5cUSamqOGNkKfRfUgXiWl8crtNp19j-LgSg4oLdhURrCNtTEYUj10d0oKq0D7kJgyUtMpfUP4o3ALc-DjAUjb1IwHKWabS-D0h8Hc6T9bSKlyLwZExu9kgR_rtGwoshEYb3CLwOrR6=s16000" title="বাগদাদের বৃত্তাকার শহর ছিল বাগদাদের মূল প্রাণকেন্দ্র" />
<div class="tr-caption">
বাগদাদের বৃত্তাকার শহর ছিল বাগদাদের মূল প্রাণকেন্দ্র। আব্বাসীয় খলিফা আল
মনসুর ৭৬২-৭৬৭ খ্রিষ্টাব্দে আব্বাসীয় রাজধানী হিসেবে এটি স্থাপন করেন।
আব্বাসীয় সময়ে এর নাম ছিল শান্তির শহর - মদিনাতুস সালাম।<br />
</div>
<br />
<p>
বস্তুত তিনি এমন একটি জাতি তৈরি করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন যে জাতির
সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে, জীবন ও সম্পদ দিয়ে লড়াই করে সমগ্র পৃথিবীকে
আল্লাহর নাজিল করা ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থার অধীনে নিয়ে আসবে। পবিত্র কোর’আনের
অতন্ত তিনটি আয়াতে আল্লাহ এই উদ্দেশ্যকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন,
</p>
<p>
“<b>তিনি আল্লাহ যিনি তাঁর রসুলকে প্রেরণ করেছেন সঠিক পথনির্দেশ (হেদায়াহ) ও
সত্যদীন সহকারে যেন তিনি সকল প্রচলিত জীবনব্যবস্থার উপরে একে বিজয়ীরূপে
প্রতিষ্ঠা করেন।</b>” (সুরা তওবা ৩৩, সুরা সফ ৯, সুরা ফাতাহ ২৮)। এটাই যে তাঁর রসুল প্রেরণের
উদ্দেশ্য সে বিষয়ে যেন কোনা ভিন্নমত, বিতর্ক বা সন্দেহের লেশও না থাকে সে জন্য
তিনি এ কথটিও যুক্ত করে দিয়েছেন যে, এর সাক্ষী হিসাবে আল্লাহ স্বয়ং যথেষ্ট, কাফি।
</p>
<p>
পৃথিবীতে এমনিতেই বহু সংখ্যক উপাসক সম্প্রদায় ছিল এবং আছে। রসুলাল্লাহ (সা.) এর
মধ্যে আরো একটি উপাসক সম্প্রদায় যোগ করার জন্য আসেন নি। তিনি অর্থহীন কাজ করার
মানুষ ছিলেন না। তিনি যে উম্মাহ গড়ে তুলেছিলেন সে উম্মাহর প্রতিটি সদস্যের মনে
মগজে তিনি গেড়ে দিয়েছিলেন যে কেন তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে, পৃথিবীতে তাদের কাজ
কী? তিনি নিজে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র দশ বছরে অন্তত একশত সাতটি সামরিক অভিযান
পরিচালনা করেছেন। নিজে অংশ নিয়েছেন সাতাশটিতে।
</p>
<img alt="খলিফা আল মনসুরের ভাস্কর্য" border="0" data-original-height="1032" data-original-width="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEihxgdATFfofZ1wtKu8PCyLeTA0ahy3fBTdpJjbdxDdluskh9jJM8i43Dmpc_yMmY_11yzKJmvFMOWTkCU0bLf4jvndoOLR8Q6RSNF_nbrcRbgzEyW2tbEDZ7-enE0Ydu84A8SwHnH41cSfRMHwY8MubpF6kvri3uqLpW5qKHzT-0By6h7ugwvidkRP=s16000" title="খলিফা আল মনসুরের ভাস্কর্য" />
<div class="tr-caption" style="text-align: center;">
খলিফা আল মনসুরের ভাস্কর্য।
</div>
<br />
<p>
এভাবে তিনি হেজাজের সাড়ে বারো লক্ষ বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ডে আল্লাহর সত্যদীন
প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি অকল্পনীয় ন্যায় ও সুবিচারপূর্ণ, জ্ঞানে বিজ্ঞানে, সম্পদে
সমৃদ্ধ একটি সভ্যতার ভিত্তি নির্মাণ করে যান। তিনি ও তাঁর পরবর্তীতে খোলাফায়ে
রাশেদার যুগে এই সভ্যতার রাজনৈতিক কাঠামো, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, সামরিক শৃঙ্খলা,
সামাজিক ব্যবস্থা ইত্যাদি পূর্ণাঙ্গতা লাভ করে।
</p>
<p>
খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এই উম্মাহ সামরিক শক্তিবলে তদানীন্তন অর্ধ দুনিয়ার
কর্তৃত্ব অর্জন করে এবং সেখান থেকে সকল অন্যায় অবিচার অনাচার দূর করে মানুষের
ধর্মীয় স্বাধীনতাসহ সকল মানবাধিকার নিশ্চিত করে। সেটা ছিল মুসলিম উম্মাহর সোনালি
অধ্যায়।
</p>
<img alt="বোমার আঘাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত খলিফা আল মনসুরের এই ভাস্কর্য" border="0" data-original-height="564" data-original-width="940" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEikZKL2wQW4Ag9NgjHXnhrVp8LxrC_-mOEZgCebaZq6mMrhQP_-_-v8xlhh4qBJXgXQ659azKU1K10cDTYk_cO2K5ZLWGu2fwcb1mqPgZmW6tKfVojXy9nO-aFxMpHHpvgJK_egbu4vyxUDGz4E-RJXGha7o7YbyeX-0h73HMijq8JfA6RZJiOHkMtL=s16000" title="বোমার আঘাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত খলিফা আল মনসুরের এই ভাস্কর্য" />
<div class="tr-caption" style="text-align: center;">
২০০৫ সনে বাগদাদের প্রতিষ্ঠাতা খলিফা আল মনসুরের এই ভাস্কর্যটি বোমার আঘাতে
ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে যায়
</div>
<br />
<p>
আর আজ তার সম্পূর্ণ বিপরীত। আজকে মুসলিম মানে হচ্ছে নিছক একটি উপাসক সম্প্রদায়।
তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ যাবতীয় অঙ্গনে কর্তৃত্ব করছে পাশ্চাত্যের
তৈরি বিধি-নিষেধ ও মূল্যবোধ। সংখ্যার আধিক্য ছাড়া তাদের আর গৌরব করার কিছুই নেই।
কিন্তু মর্যাদা লাভের জন্য কোয়ন্টিটি বা সংখ্যার কোনো গুরুত্ব বাস্তবে থাকে না।
গুরুত্ব থাকে কোয়ালিটি বা গুণাবলীর।
</p>
<p>
সেই জাতি ছিল ঝড়ের মতো গতিশীল। অর্ধেক দুনিয়ার শাসন কার্য পরিচালনার জন্য তাদেরকে
দিনরাত থাকতে হয়েছে কর্মব্যস্ত। প্রতি মুহূর্তে সামনে আসছে নতুন নতুন সংকট।
সেগুলোর মোকাবেলা করে জাতি প্রতি মুহূর্তে পার হয়ে যাচ্ছে উৎকর্ষের একেকটি সোপান।
এভাবে জাতি উঠে গেছে উন্নতির চরম শিখরে। মানবজাতি প্রত্যক্ষ করল ঐশী কেতাবের
জ্যোতি কতটা প্রখর হতে পারে। মানবজাতি ন্যায় ও সত্যের বাস্তব রূপ দেখল মোমেনদের
মাধ্যমে।
</p>
<img alt="বাইতুল হিকমাহ" border="0" data-original-height="638" data-original-width="1200" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEiydbyjNp5s80ehrtg5nIewBd07ImesT6U_cvPrOUUO4iZEgrJr1avqCzEm81FVsz6nMgGUQw_cXXEFAli2mUg2eRebbOZSe_fc46oueDq_MS2D2xdchF2W7O4MCCIwSNFuIsEGs9bIirNPkNqkqwKdU-X2TTmHoNU1BXtskUoL9nMgp_tLtjbqSsG7=s16000" title="বাইতুল হিকমাহ" />
<div class="tr-caption">
বাইতুল হিকমাহ ছিল আব্বাসীয় আমলে ইরাকের বাগদাদে প্রতিষ্ঠিত একটি
গ্রন্থাগার, অনুবাদকেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটিকে ইসলামি স্বর্ণযুগের
একটি প্রধান বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। <br />
বাইতুল হিকমাহ খলিফা হারুনুর রশিদ (শাসনকাল ৭৮৬-৮০৯ খ্রিষ্টাব্দ) প্রতিষ্ঠা
করেন এবং তার পুত্র আল মামুন (শাসনকাল ৮১৩-৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দ) এর সময় তা
সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌছায়। জ্ঞানের আদানপ্রদানের জন্য আল মামুন অনেক
জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিকে বাইতুল হিকমাহতে নিয়ে আসেন।<br />
৯ম থেকে ১৩ শতক পর্যন্ত পারসিয়ান ও খ্রিষ্টানসহ অসংখ্য পণ্ডিত ব্যক্তি এই
গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন। আরবিতে গ্রন্থ অনুবাদ ও
সংরক্ষণের পাশাপাশি পণ্ডিতরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক অবদান রাখেন।
</div>
<br />
<p>
অন্যান্য জাতি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখেছে মুসলিম শাসকদের হিমাদ্রিসম ব্যক্তিত্ব,
তাদের সভ্যতার বিরাটত্ব ও চিন্তার উদারতা। তারা তাকিয়ে থেকেছে মুসলিম শাসনের
রাজনৈতিক কেন্দ্র বাগদাদ, আলেকজান্ড্রিয়া, ইস্তাম্বুল, গ্রানাডা, কর্ডোবা,
আলেপ্পো, কায়রোয়ান, তিলমেসান, নাজাফ, দামেস্ক, বোখারা, সমরখন্দ, দিল্লি, গৌড়ের
নগরসমূহের পানে। ঠিক যেভাবে আজ আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে থাকি নিউ ইয়র্ক,
লন্ডন, মস্কো, আমস্টার্ডাম, প্যারিস, ভিয়েনা, অসলো ইত্যাদি পাশ্চাত্যের উন্নত
শহরের দিকে।
</p>
Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-31194542251730809122021-10-22T21:27:00.004+06:002021-10-24T20:44:25.354+06:00পাগলের কাঁধে ধর্মের গদাপাগলের কাঁধে ধর্মের গদা,<br />
পাগল নাকি সে-ই একা!<br />
ভাংগলো যারা মন্দির, মূর্তি,<br />
সুস্থ কি তবে তাদের মানসিকতা?<br /><br />
গাগলের কাজে পাগলই নাচে,<br />
শহীদ হয়ে আজীবন বাচেঁ।<br />
মনে মনে মন কলা খায়,<br />
ঈমান দেখিয়ে শর্টকাটে জান্নাতে যায়।<br /><br />
জান্নাত কি রে সে লটারির টিকেট!<br />
আচম্বিতে তুই ভরবি পকেট?<br />
লটারিও তো টিকেটেই মেলে না,<br />
লাখে কোটিতে পায় একজনা।<br /><br />
পাগলের কাজে নাচিলি যবে<br />
আসল পাগল বনিলি তবে<br />
ধর্মের উপর করিলি ভর,<br />
আসলে তোরা খুব ধুরন্ধর।<br />
<br/>
<img alt="পাগলের কাঁধে ধর্মের গদা" border="0" data-original-height="600" data-original-width="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjnj2Aazt5Ba9LHRdVvihc8sQN7QFfulXb-6y2VUGYCe8if2E0-hZIpldS-VcsBNQaFa0P241yJEuE9vi5s95Thk-XTZKzI5VMCMSqFreuoMGMZC-h-vFLHWmL1H6GdnU08tP8ASBXlOaWHCS6pFC3tDLFJrZ4E_FRji-FtyXFoUHW5RlF7LlbXjHJL"/><br/><br/>Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-22745110741752819372021-10-20T12:29:00.007+06:002022-09-14T13:29:32.321+06:00সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষ সঙ্কটে রাসূল সা. এর যুগান্তকারী সমাধান<img alt="সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষ সঙ্কটে রাসূল সা. এর যুগান্তকারী সমাধান" border="0" data-original-height="600" data-original-width="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEiaTZvDpQqJKu3YYfu81ERzqnLGLIQs8zzPlWkiEETw-w8K79OrxdnbuN3c1tL1ueN7OokBTT4D6a4TNh2PH7VCMU9c3loGLh39lgmrLzAr8An0gDGs5Wt4D_zopIwHhxmL3oNrDgD_z1NtMA0xXeVKn6ExrXHbrJ5zt1pthfv8k4OyOiB-NmZpUs2R=s16000" title="সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষ সঙ্কটে রাসূল সা. এর যুগান্তকারী সমাধান" /><br /><p><br /></p><p>সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষ মানবজাতির পুরোনো সঙ্কট। আল্লাহর রসুল এই সঙ্কটের যুগান্তকারী সমাধান করেছিলেন। মদীনায় হিজরতের পর আল্লাহর রসুল মদীনার ইহুদি, পৌত্তলিক ও মুসলিম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন যা ইতিহাসে <a href="/2021/10/madina-sanad.html" target="_blank">মদীনা সনদ</a> নামে খ্যাত। </p><p>আন্তঃধর্মীয় বিভাজন ও ঘৃণা-বিদ্বেষের বিপরীতে রসুলাল্লাহ গড়ে তুলেছিলেন আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি, আস্থা, বিশ্বাস ও সহনশীলতার সম্পর্ক। </p><p>এছাড়া রসুলাল্লাহ তাঁর হাতে গড়া জাতিকে এমন আকিদা শিক্ষা দিয়েছিলেন যে, সেই জাতি উদারতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও সহনশীলতার মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছিল। তারা ছিলেন সার্বজনীন মানসিকতার ধারক। এই মানসিকতা তৈরি করেছিল ইসলাম। </p><p>কোর’আনে বারবার মানুষের আদি পিতা-মাতা ও আদি অবস্থার কথা স্মরণ করানো হয়েছে। যেমন, সুরা নিসার প্রথম আয়াতেই আল্লাহ বলেছেন, “<b>হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর। যিনি তোমাদের একই ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন এবং তা থেকে তার সহধর্মিনী সৃষ্টি করেছেন। যিনি তাদের দু'জন থেকে পৃথিবীতে বহু নর-নারী বিস্তার করেছেন।</b>” খেয়াল করুন, আয়াতের কথাগুলো আল্লাহ কাদেরকে বলেছেন। শুধু মো’মেনদেরকে নয়, মুসলিমদেরকে নয়, রসুলকেও নয়, বলেছেন পুরো মানবজাতিকে। </p><p>তিনি মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন তোমরা নিজেদের মধ্যে যত বিভাজনের দেয়াল তুলে রাখো না কেন, আমার দৃষ্টিতে তোমরা সবাই এক পিতা মাতার সন্তান। তোমরা সবাই ভাই। </p><p>এছাড়াও বাকারার ৬২ নম্বর আয়াতসহ বহু আয়াতে আল্লাহ বলেছেন- <b>অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেও ঈমানদার ব্যক্তি রয়েছেন</b>। </p><p>এই সার্বজনীন চেতনায় উজ্জীবিত ছিল উম্মতে মোহাম্মদ জাতি। কাজেই সেই জাতিটি যখন অর্ধপৃথিবীর শাসকে পরিণত হয়েছিল তাদের অধীনে বিভিন্ন ধর্মের, মতের, বিশ্বাসের মানুষ যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্মীয় উপাসনা, অনুষ্ঠান ইত্যাদি সম্পাদন করতেন। কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা কল্পনাও করা যেত না।</p>Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-22619816728874548812021-10-19T23:38:00.008+06:002021-10-22T21:35:57.167+06:00আমার পড়াশোনা, আমার গল্প<p>পড়াশোনার প্রতি আমার বিশেষ একটা আগ্রহ ছিল শৈশবে। কারণ আমি জেনেছিলাম পড়াশোনা করলে জ্ঞান বাড়ে, যেকোনো বস্তু সম্পর্কে সঠিক নির্ণয় করার যোগ্যতা অর্জন হয় তাই। আমি কখনোই স্কুল ফাঁকি দিয়ে বেড়াতাম না। এজন্য স্যার প্রায় সময় আমাকে আদর করতেন, তাঁর বাড়ি ডেকে আপ্যায়ণ করাতেন। </p><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><tbody><tr><td style="text-align: center;"><a href="#" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><img alt="আমার পড়াশোনা, আমার গল্প" border="0" data-original-height="972" data-original-width="1296" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEhn3odnk533NhLigCxP0_203irE0GBlvBnYAgq5jnr1cXnfJA6AEeb2m625gpu7BQPHhON_eC3qr7HOci8e8QIe21t7AJOXjsVIoNWhH9ROnJSfiIckQ9XLP_fa_byqtVE5N-VHuuPQbPqwkdlhbsvS9_FXPJg58sJk85MVCuURv1JrWMPFchTT7oQL=s16000" title="আমার পড়াশোনা, আমার গল্প" /></a></td></tr><tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">আমার স্কুল ও আমি!</td></tr></tbody></table><p>ছবি আঁকার প্রতি ও বইয়ের পড়া লেখার প্রতিও আমার ঝোঁক ছিল খুব। আমার দাদি যে টাকা আমায় খেতে দিতেন সে টাকা দিয়ে আমি খাতা কিনে ছবি আঁকতাম, বইয়ের পড়া লিখতাম। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন গাছ কিনে বাড়ির চতুর্পাশে লাগাতাম। সে গাছগুলোর মধ্যে এখনো কাঁঠাল গাছ, আম গাছ, বড়ই গাছ শির উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বাড়ির চতুর্পাশে। </p><br /><p>তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত অনেক কষ্ট করে আমার দাদি আমায় পড়ালেখা করান। তারপর অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ধীরে ধীরে পড়াশোনা থেকে আমার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। অনেক চেষ্টা করি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে কিন্তু পারিবারিক অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা এমনভাবে আমাকে বেঁধে ফেলে যে পড়াশোনা বাঁধ দিয়ে নিরুপায় হয়ে কর্মস্থলে সম্পৃক্ত হতে হয়।</p><p>তারপর এক বছর পড়াশোনা বন্ধ থাকে। দ্বিতীয় বছর অনেক কষ্ট করে স্কুলে ভর্তি হই। তবে আগের মতো শুধু পড়াশোনা করে জীবন নির্বাহ করার সুযোগ থাকে না। একটা কর্মস্থলে কাজ করতে হতো পাশাপাশি পড়াশোনা করতাম। তবুও আমি খুশি ছিলাম। কারণ পড়াশোনা করতে পারছিলাম এটাই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া ছিল। </p><p>পঞ্চম শ্রেণীর ঠিক ফাইনাল পরীক্ষার আগ মূহুর্তে এক সড়ক দুর্ঘটনায় আমার বাবার এক পা ভেঙে গেলে, বাবা একদম ঘরে বসে পড়েন। পরিবারের কর্তা উপার্জন করতে না পারলে সেই পরিবারের অবস্থা কতোটা শোচনীয় হয় তা আর নাই বললাম। তারপর পড়াশোনা করার সুযোগ একদমই হারিয়ে ফেললাম। </p><p>সেই ১০ বছর বয়সে পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়লো আমার আর বড় আপুর কাঁধে। তারপর জীবনযুদ্ধ শুরু। পড়াশোনা করার সুযোগ আর হলো না। কিন্তু আল্লাহর অশেষ কৃপায় ২০১২ সালের দিকে হঠাৎ কিছু ধর্মীয় বই পড়ার প্রয়োজনে আবার পড়াশোনা শুরু করলাম। সারাদিন কাজ করতাম। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বই পড়তাম। পড়াশোনা বলতে শিশুশ্রেণীর বই কিনে পড়া শুরু করেছিলাম অক্ষরের সাথে পরিচিতি লাভ করতে। কারণ দীর্ঘদিন বইপুস্তক থেকে দূরে থাকার কারণে বই পড়ার যোগ্যতাটুকুও হারিয়ে ফেলেছিলাম। </p><p>জীবনের এই পর্যায়ে এসে অনেক কিছু শিখেছি পৃথিবীর কাছ থেকে। পড়াশোনা করতে পারিনি এ নিয়ে এখন আর আমার মধ্যে কোনো আফসোস নেই। আমি যেটুকু শিক্ষা অর্জন করেছি তা নিয়ে আমি তুষ্ট। একটা সময় দুঃখ হতো পড়াশোনা সম্পূর্ণ করতে পারিনি বলে, কিন্তু এখন আর হয় না। কারণ আমার সামনে উচ্চতর শিক্ষিত লোকগুলো যখন সমাজটাকে অন্ধকারে তলিয়ে দিচ্ছে তখন এই প্রচলিত শিক্ষার প্রতি ভালোবাসার বদলে অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তবু স্বপ্ন দেখি, আগামীর দিনগুলোতে মানুষ প্রকৃত শিক্ষা নিয়ে শান্তির পথ নিশ্চিত করবে। সেদিন আমার পরবর্তী প্রজন্ম প্রকৃত শিক্ষার সান্নিধ্য লাভ করে আমার অপূরণীয় স্বপ্নগুলো পূরণ করবে। </p>Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-7532142337717869547.post-85811564305282211022021-10-19T21:12:00.005+06:002021-10-19T21:13:15.330+06:00তারা কি আদৌ রসুলাল্লাহর অনুসারী?<img alt="মসজিদে প্রশ্রাবকারী ব্যক্তির প্রতি আচরণ" border="0" data-original-height="530" data-original-width="800" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEgEbBwlm7OnXp5sRiGNa60OlP3kIrrgfNxll6aPJkxqFMwFZPDbVzXuBqG6QJMKl3JXUojq_pHPbvGnQ6GUDL9r0g37KJO5BYBjPdtPgWw0f_rf8CWTZG298UEDqgwUdlL3zwJu7Bm4-Hdz7wSAQwEIl5L0hDWE5jV-2JgM95K1Im7DkIVZuvDhuEFB=s16000" title="মসজিদে প্রশ্রাবকারী ব্যক্তির প্রতি আচরণ" /><br/><br/><p>ইসলামের নাম ব্যবহার করে যারা এই প্রতিনিয়ত হিংসা ও সন্ত্রাসের চর্চা করে চলছে- তারা কি আদৌ রসুলাল্লাহর অনুসারী? যারা রসুলকে ভালোবাসেন, ইসলামকে ভালোবাসেন তাদের সামনে মহানবীর গৃহীত কর্মনীতি আলোচনা করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। </p><h3 style="text-align: left;">ঘটনা ১।। মসজিদে প্রশ্রাবকারী ব্যক্তির প্রতি আচরণ</h3><p>আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, একবার এক বেদুঈন মসজিদে নববীতে পেশাব করে দিল। লোকেরা তা দেখে তেড়ে এল। কিন্তু রসুলাল্লাহ (সা.) তাদেরকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, তাকে তার কাজ শেষ করতে দাও এবং এক বালতি পানি ঢেলে স্থানটি ধুয়ে দাও। মনে রেখ, তোমাদেরকে পাঠানো হয়েছে জীবনকে সহজ করার জন্য, কঠিন করার জন্য নয় (হাদিস- বোখারি, কিতাবুল ওজু ১/৩৫)।</p><p>এরপর রসুলাল্লাহ লোকটিকে শান্তভাবে বুঝিয়ে বললেন যে মসজিদ আল্লাহর ঘর, এখানে সালাহ কায়েম করা হয়। এটা পবিত্র স্থান। এখানে এই কাজ করা উচিত নয়। আরববাসীর অজ্ঞতা সম্পর্কে রসুলাল্লাহ সচেতন ছিলেন। তাই এ বিষয় নিয়ে অন্যান্য সাহাবিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়াতে দিলেন না। তিনি সঙ্গে সঙ্গে হস্তক্ষেপ করে সুন্দর ও স্বাভাবিক সমাধান করে দিলেন। </p><p></p><blockquote>পক্ষান্তরে আজকে যদি এ ধরনের ঘটনা কেউ ঘটায় তাহলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ এর সমাধান দেওয়ার আগেই স্বার্থান্বেষী ঐ গোষ্ঠীটি গুজব ছড়িয়ে দিত। ফলে তার কপালে কী ঘটবে তা সহজেই অনুমেয়। </blockquote><p></p><p><b>প্রমাণ- </b>মাত্র কিছুদিন আগে লালমণিরহাটে জুয়েল নামে একজন নির্দোষ ব্যক্তির উপর কোর’আন অবমাননার অভিযোগ এনে শেষ পর্যন্ত তাকে পিটিয়ে হত্যা তো করাই হয়েছিল, তারপর তার মরদেহ আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল পাশবিক উল্লাসে। কিন্তু বেচারার দোষ ছিল এটাই যে, মসজিদের উঁচু তাক থেকে কোর’আন নামাতে গিয়ে একটি কোর’আন মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। বেচারা হাজার বার কোর’আনে চুমু খেয়েও, পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েও রক্তপিপাসু উন্মাদদের হাত থেকে বাঁচতে পারল না। </p><p>এই মানুষগুলো আসলেই কি সেই নবীর অনুসারী যিনি অজ্ঞ বেদুইনকে মসজিদের ভিতরে অমন কাজ করতে দেখেও বিন্দুমাত্র ক্ষিপ্ত হন নি? তারা কি আসলেই মহানবীর আদর্শ ধারণ করেছেন? রসুলাল্লাহ তো জেহাদ করেছেন সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য, এবং সেই জেহাদের একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও কর্মসূচি ছিল। তাঁর জেহাদ ছিল বহুগুণ শক্তিশালী শক্তির বিরুদ্ধে। তিনি তো দুর্বল অসহায় মানুষের বিরুদ্ধে শক্তিপ্রদর্শন করেন নি।</p>Elliyas Ahmedhttp://www.blogger.com/profile/04263826201838247084noreply@blogger.com