একটা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে দুর্নীতি-ঘুষ নেই। তো কারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজটা করবে? শেখ হাসিনা তার অফিসে বসে ঘুষখোর ধরবেন?
যাদেরকে দিয়ে ধরাবেন তারাই দুর্নীতিবাজ। মানুষ এদের কাছে জিম্মি। সহসা মুক্তি নেই। এমনকি সরকারও তাদের কাছে জিম্মি। বিসিএস পাশ করে অর্ধশিক্ষিত রাজনীতিবিদদের হুকুমে রাষ্ট্র চলবে? বিসিএস পাশ ঘোড়ার ঘাস কেটে করেনি। এখন তারা রাজনীতিবিদদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাতে সক্ষম।
এদেরকে এই অপূর্ব সুযোগ কারা করে দিয়েছে? তারাই করে দিয়েছে যারা রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠানের নিয়ম কানুন ভেঙ্গে, ভোটাধিকারকে রাতের অন্ধকারে খুন করে ক্ষমতায় বসেছে। তারা কাদেরকে দিয়ে এসব করিয়েছে? এসব আমলা ও প্রশাসনকে দিয়েই। সুতরাং তারা জানে ক্ষমতাশালীদের নৈতিক ভিত্তি নেই। তাই তারাও সমানে আখের গুছিয়ে যাচ্ছে। অবস্থাটা এখন এমন, ক্ষমতাশালীদের দরকার আমলা-প্রশাসনকে। আবার আমলা প্রশাসনের দরকার ক্ষমতাশালীদের। তারা মুখোমুখি হতে পারবে না। বরং যতদিন পরস্পর পরস্পরকে ছাড় দিয়ে চলবে তত দিন তারা টিকে থাকবে। ততদিনই সাধারণ মানুষ এই দুই শক্তির কাছে শোষিত হতে থাকবে, বঞ্চিত হতে থাকবে। মানুষ অধিকারের কথা বলতে পারবে না, দুর্নীতি-ঘুষের লাগাম টানতে পারবে না।
মন্তব্য করুন এখানে