নির্বাচিত লেখা

দাসপ্রথার বিরুদ্ধে রসুলাল্লাহর (সা.) সংগ্রাম

আল্লাহর রসুল (সা.) মানুষ কেনাবেচার দাসত্ব প্রথাকে নির্মূল করার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। এই সংগ্রাম কেবল যে কাফেরদের বিরুদ্ধে তা নয়......

একদিন এই কঠিন প্রশ্নটি সন্তানদের সামনে আসলো

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৩
বাবা-মা আর তাদের দশটা সন্তান নিয়ে বড় একটা পরিবার। সন্তানগুলো বাবা-মাকে খুব ভালোবাসে। বাবা-মাও তাদেরকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। বাবা কঠিন পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্যন করেন এবং সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেন, সন্তানদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করেন। নিজে হাজার কষ্ট সহ্য করলেও সন্তানদের কষ্ট হবে এমন কাজ তিনি করতে পারেন না। তবে অন্যায় কাজ থেকে ফেরানোর জন্য বাবার কঠরতাও আছে, তিনি সন্তানদের কড়া শাসনের মধ্যেও রাখেন।

একদিন এই কঠিন প্রশ্নটি সন্তানদের সামনে আসলো

মা এত শাসন বোঝেন না, তাঁর হৃদয় কেবল মায়া-মমতা দিয়ে গড়া। সন্তানদের সামান্য কষ্ট দূর করার জন্য তিনি নিজের কলিজাটা কেটে দিতেও রাজি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোনো বিশ্রাম নেই, বাড়ির সকল কাজ একা হাতে সামলান। সন্তানরা অসুস্থ হলে মায়ের মনে আর সুখ থাকে না, চোখে আর নিদ থাকে না।

এই সন্তানদের কাছে সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন হলো- তোমরা কাকে বেশি ভালোবাসো, মাকে নাকি বাবাকে?
মাকে ভালোবাসা মানেই তো বাবাকে ভালোবাসা আবার বাবাকে ভালোবাসা মানেই তো মাকে ভালোবাসা। তারা দুটোকে আলাদাভাবে কল্পনাই করতে পারে না। মা আর বাবা যেন একটা অভিন্ন সত্ত্বা।

একদিন এই কঠিন প্রশ্নটি সন্তানদের সামনে আসলো। বাবা-মায়ের ডিভোর্স হলো। কিছু সন্তান বাবার সাথে আর কিছু সন্তান মায়ের সাথে চলে গেল। একে অপরের থেকে বহু দূরে চলে গেল তারা। তারা কেউ কি সুখী হতে পারবে?

ধর্ম এবং রাষ্ট্র ঠিক এই বাবা-মায়ের মতো। যখন এ দুটো জিনিস একসাথে তখন নাগরিকদের জীবনে শান্তি আসে আর যখন কিছু অসাধু মানুষ ধর্ম এবং রাষ্ট্রকে একে অপরের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়, তখন নাগরিকদের জীবন থেকে শান্তি চলে যায়।

বর্তমানে রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে এভাবে পৃথক করা হয়েছে কেবল পৃথকই করা হয়নি একেবারে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে। এর ফলে একটা শ্রেণি ধর্মকে অবজ্ঞা করছে আর আরেকটা শ্রেণি রাষ্ট্রের আইন-কানুন, রাষ্ট্রের কোনো বিষয়েই শ্রদ্ধাশীল নয়। তারা কেবল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ফলাফল- বর্তমানের অশান্ত পৃথিবী।