নির্বাচিত লেখা

দাসপ্রথার বিরুদ্ধে রসুলাল্লাহর (সা.) সংগ্রাম

আল্লাহর রসুল (সা.) মানুষ কেনাবেচার দাসত্ব প্রথাকে নির্মূল করার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। এই সংগ্রাম কেবল যে কাফেরদের বিরুদ্ধে তা নয়......

যুদ্ধমুক্ত বিশ্ব চাই

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারী ০৭, ২০২৪
বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম স্কুলে যাব বলে
রাস্তায় দেখি বখাটেদের আড্ডা।
অন্ধকার রাতে আগুনে ঝাঁপ দেওয়া পতঙ্গের মতো
কিশোরেরা উন্মত্ত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে মাদক-নেশায়।
স্কুল পড়ুয়া  ছেলেমেয়েরা আশি বছরের বৃদ্ধের মতো
ন্যুব্জ হয়ে পড়ছে ডিভাইস আসক্তিতে।

যেই বয়সে রক্তে থাকে তেজ, হৃদয়ে থাকে বিদ্রোহের আগুন
সেই বয়সের ছেলেরা দিন বদলের স্বপ্ন ছেড়ে
নোংরা রাজনীতির হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে
গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং।

ভায়ে ভায়ে চলছে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি
পাড়ায় পাড়ায় চলছে দলাদলি, লাঠালাঠি
সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে চলছে গোলাগুলি, ফাটাফাটি
দেশে দেশে চলছে যুদ্ধ-রক্তপাত।
আমি কোমলমতি শিশু, আমি সরলহৃদি ছাত্র
আমি তোমার ভবিষ্যৎ, তোমায় দেখে শিখছি দিবারাত্র।
 তোমরা মুখে গাও মানবতার গান
অন্তরে ধ্বনিত হয় যুদ্ধের স্লোগান।
শান্তির পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন কর অনুষ্ঠান ঝলমল
হৃদয়ে তোমাদের বসবাস করে মাংসখেকো শকুনের দল।

নিজেদের ধার্মিক প্রমাণ করতে ধরেছ বড় বড় লেবাস
কিন্তু সমাজকে তুলে দিয়েছ ইবলিসের হাতে।
 দোয়া মাঙো পরকালে জান্নাতের জন্য
অথচ দুনিয়াকে বানিয়ে রেখেছ জাহান্নাম।
হৃদয়ের বারুদের গন্ধ ঢাকতে গায়ে মেখেছ পারফিউম
চরিত্রের কলুসতা, নোংরামি ঢেকে দিয়েছ বড় আলখেল্লায়।
তোমাদের এই ভণ্ডামি, কপটতা ছাড়
এই দলাদলি, কিলাকিলি ছাড়।
এসো সকল বিভেদ ভুলে, বিদ্বেষ দূর করে
কাঁধে কাঁধ মিলাই, ঐক্যবদ্ধ হই।
যুদ্ধমুক্ত মানবিক এক পৃথিবী গড়ে তুলি।

এই মুহূর্তে পৃথিবীর প্রায় ৩৫ জায়গাতে যুদ্ধ চলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ, ইয়েমেন যুদ্ধ ইত্যাদি। যারা যুদ্ধ চালাচ্ছে তারা মুখে কিন্তু শান্তির স্লোগান দিয়ে বেড়ায়। এই প্রেক্ষাপটে লিখেছি গদ্যরীতির এই কবিতাটি। কবিতাটি চাষীরহাট উন্নয়ন মেলাতে আবৃত্তি করা হয়েছে। মতামত চাই।